ধূলা-দূষণ নিয়ন্ত্রণের দাবি

ধূলা দূষণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের কার্য়কর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার  সকালে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে একটি মানবন্ধন থেকে এ জানানো হয়। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), বিসিএইচআরডি, দেবীদাস ঘাট সমাজ কল্যাণ সংসদ ও অনির্বাণ সমাজ কল্যাণ সংস্থা যৌথভাবে এই মানবন্ধনের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, নানা ধরনের দূষণে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের পরিবেশ আজ সংকটাপন্ন। বিভিন্ন ধরণের দূষণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে – বায়ু দূষণ বিশেষ করে ধূলা দূষণ। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে ধূলা দূষণ প্রকট আকার ধারণ  করেছে । ধূলাবালি পেশাক পরিচ্ছদ, আসবাবপত্র, ঘরবাড়ি, অফিস-আদালত ও মূল্যবান প্রতœতাত্বিক নিদর্শনসহ মানব জীবনের অতি গুরুত্বপর্ণ সামগ্রী ও মানুষের জীবনকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে চলেছে। ধূলা দূষণের ফলে পেশাক পরিচ্ছদ ও অন্যান্য কাপড়চোপড় বেশি নোংরা হচ্ছে এবং এগুলো পরিস্কার করতে প্রতিদিনকার মূল্যবান সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অপচয় করতে হচ্ছে।
এছাড়াও অধিক শ্রম ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে এবং এগুলোর মেয়াদও কমে যাচ্ছে। ধূলা দূষণের ফলে শারিরীক পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্যও অধিক সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবার সমন্বয়কারী আতিক মোরশেদ, পবার সহ-সম্পাদক জনাব আমির হাসান, স্থপতি শাহীন আজিজ, মো. সেলিম পবার নির্বাহী সদস্য মনজুর হাসান দিলু, মো. নজরুল ইসলাম, পদ্মাবতী দেবী, বিসিএইচআরডি এর নির্বাহী পরিচালক ও পবার সহ-সম্পাদক জনাব মাহবুবুল হক, দেবীদাস ঘাট সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি জনাব মো. মুসা প্রমুখ।
আবু নাসের খান বলেন, জামা-কাপড় ধোঁয়া, বাসাবাড়ি ধোঁয়া-মোছার জন্য অতিরিক্ত পানি ও ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হয়। কাপড়-চোপড় ইস্ত্রি করতেও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হয়। অতিরিক্ত পানি, বিদ্যুৎ ও ডিটারজেন ব্যবহারের ফলে পারিবারিকভাবে আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ধূলা দূষণের কারণে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ ব্যয় করতে হচ্ছে।