নকশা ও অবকাঠামো নির্মাণে লাইসেন্স পেলো রূপপুর
পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের নকশা ও অবকাঠামো নির্মাণে শর্ত সাপেক্ষে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের মূল নির্মাণ পর্বের প্রাথমিক কাজ শুরুর (ফার্স্ট কংক্রিট পৌরিং বা এফসিপি) অংশ হিসেবে ‘ডিজাইন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লাইসেন্স’ পেয়েছে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন (বিএইসি)। বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি অথোরিটি (বিএইআরএ) আণবিক শক্তি কমিশনকে এই লাইসেন্স দিয়েছে।
আজ শনিবার হোটেল সোনারগাও এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই লাইসেন্স দেয়া হয়। বিএইআরএ চেয়ারম্যান নঈন চৌধুরী আনবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার সাহার হাতে এই লাইসেন্স তুলে দেন।
আগামী ৩০ নভেম্বর এই কেন্দ্র নির্মাণের মুল কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লীর ১০০ বছর টেকসই নিশ্চিত করা সহ একাধিক শর্তা দেয়া হয়েছে। অন্য শর্তগুলাে মধ্যে আছে প্রকল্প এলাকার মাটিকে উপযোগী করে গড়ে তোলা, পদ্মা নদীর পাড়েরর প্রতিরক্ষা বাঁধ করা, জরুরি অবস্থায়
ব্যবস্থা নেয়া পরিকল্পনা চূড়ান্ত এবং প্রকল্পের অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্ত দেয়া হয়েছে। এই শর্ত পূরণ হলে আগামী বছর মার্চে নিঃশর্ত লাইসেন্স দেয়া হবে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রকে।
বেলেমাটি পরমাণু চুল্লি (রিঅ্যাক্টর) স্থাপনের উপযোগী করে তোলা, পদ্মা নদীর পাড়ের প্রতিরক্ষা বাঁধ বিদ্যুেকন্দ্রের জন্য নিরাপদ করে তোলা, জরুরি অবস্থায় ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা এবং প্রকল্পের অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই শর্ত পুরণ করা গেলে আগামী বছরের মার্চ মাস নিঃশর্ত লাইসেন্স পাবে বাংলাদেশ।
বিএইআরএর সূত্র জানায়, যেখানে বিদ্যুকেন্দ্রের পারমাণবিক চুল্লি স্থাপিত হবে, সে জায়গা একটি পারমাণবিক চুল্লি ১০০ বছর চলার মতো মজবুত ও টেকসই হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করতে হবে। এই ধরনের কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে রূপপুরের বেলে মাটি একটি বড় সমস্যা। এই মাটিকে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের উপযোগী করার জন্য ঠিকাদার কোম্পানি অ্যাটমট্রয়েক্সপোর্ট ‘ডিপ সয়েল মিশ্চিং’ নামের একটি জার্মান প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
নঈম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ু সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে বিশ্বের ৩১টি দেশে পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের ৪৫০টি ইউনিট চালু আছে। বাংলাদেশ হলে এটি ৩২তম দেশ হবে।