নতুন করে রেন্টালের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ
নতুন করে দুইটি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুত্ বিভাগ। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় দুইটি কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো এবং নতুন করে বিদ্যুতের দাম ঠিক করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
গতকাল বিদ্যুত্ বিভাগে বিদ্যুত্ সচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এগ্রিকো ইন্টারন্যাশনাল ও এনইপিসির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
তিন বছর মেয়াদি এগ্রিকো ইন্টারন্যাশনালের ঘোড়াশালের ১৪৫ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র এবং ১৫ বছর মেয়াদি এনইপিসির হরিপুরে ১১০ মেগাওয়াট তেলভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্রের মেয়াদ ২০১৩ সালে শেষ হয়েছে। এরপর বিদ্যুত্ বিভাগের আদেশেই এই দুই কেন্দ্র থেকে এখনো বিদ্যুত্ কিনছে বাংলাদেশ বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
বৈঠক সূত্র জানায়, বিদ্যুত্ বিভাগের পক্ষ থেকে কোম্পানির প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের গত ৫ বছরের শাসনামলে মোট ৯টি বেসরকারি বিদ্যুেকন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এরমধ্যে ৭টির মেয়াদ ওই সময়ের মধ্যেই বাড়ানো হয়। মেয়াদ বাড়ানো কোম্পানিগুলো হচ্ছে দেশ এনার্জির ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুেকন্দ্র, আরজেড পাওয়ার কোম্পানির ৫০ মেগাওয়াট, যুক্তরাজ্যভিত্তিক এগ্রিকো পাওয়ারে ৫৫ মেগাওয়াট, এনার্জিস পাওয়ারের ৫৫ মেগাওয়াট, কোয়ান্টাম পাওয়ারের ১১০ মেগাওয়াট, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি ও ইউনাইটেড গ্রুপের ১১০ মেগাওয়াট এবং প্রিসিশন এনার্জির ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুেকন্দ্র। বাকী ২টির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি সম্প্রতি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে ম্যাক্স পাওয়ার লিমিটেডের ঘোড়াশালের ৭৮.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুেকন্দ্র এবং ডিপিএ পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির নারায়ণগঞ্জের পাগলায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুেকন্দ্রের মেয়াদ ৫ বছর করে বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। খুলনা পাওয়ার কোম্পানি ছাড়া অন্যকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ ছিল তিন বছর মেয়াদি। নতুন চুক্তিতে তেলভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ১৫ টাকা ১৩ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ৯৯ পয়সা পর্যন্ত এবং গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ২ টাকা ৯১ পয়সা।
স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাময়িক সংকট মোকাবিলায় সরকার বেশিদামে রেন্টাল ও কুইকরেন্টাল বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। সেসময় এসব কেন্দ্রের মধ্যে বেশিরভাগের সঙ্গে তিনবছর মেয়াদি চুক্তি হয়। কিন্তু বড়, সাশ্রয়ী ও সরকারি বিদ্যুেকন্দ্রগুলো নির্ধারিত সময়ে উত্পাদনে আনতে না পারায় দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুতের সংকট কাটছে না। এ অবস্থায় নতুন করে এসব কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর চুক্তি করার উদ্যোগ নেয় সরকার।