নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে বাংলাদেশ-চায়না যৌথ কোম্পানি

টেকনাফে ২৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে একটি কোম্পানি গঠন করতে যাচ্ছে । এর নাম বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (রিনিউএ্যাবল)।

নর্থ ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী লি. (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) এজন্য চুক্তি করেছে। মঙ্গলবার এলডব্লিউপিজিসিএল সভাকক্ষে এই চুক্তি হয়।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে।
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (নওপাজেকো) এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) এই কোম্পানির সমান অংশীদার হবে। অর্থাৎ উভয় কোম্পানি ৫০ ভাগ করে শেয়ার থাকবে।
নতুন গঠন করা কোম্পানি কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
পাবনা ৬০ মেগাওয়াট সৌর প্রকল্পের জন্য ২০৫ দশমিক ৬৮ একর অকৃষি খাসজমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত নিয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পস্থানে নিরাপত্তা বেস্টনী নির্মাণের কাজ চলছে। ডিসেম্বর ২০২১ সালে এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
সিরাজগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট সৌর প্রকল্পের জরিপ শেষ হয়েছে। ২১৪ একর ভূমি লীজ নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রকল্পস্থানে বিদ্যমান ভূমি ও জীব-বৈচিত্রের কোন ক্ষতি না করে পানির উপর পাইলের মাধ্যমে প্যানেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। জুন ২০২২ এ এখানে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
১২৫ মেগাওয়াট সৌর কেন্দ্র করতে পাবনার বেড়া উপজালায় ৪৪৩ দশমিক ৩০ একর অকৃষি খাস জমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান। ডিসেম্বর ২০২২ এ উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
পায়রা ৫০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে ম্যাপিং শেষ করে জরিপ করা হয়েছে। ডিসেম্বর ২০২৩ এ এখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা।
অন্যান্য স্থানে মোট ১৬৫ মেগাওয়াট সৌর ও বায়ুশক্তি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থান বাছাইয়ের কাজ চলমান।

এটি একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি (সৌর ও বায়ু শক্তি) ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা । কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ষোল কোটি টাকা, যার বিপরীতে নওপাজেকো’র শেয়ার ৫০ শতাংশ এবং সিএমসি’র শেয়ার ৫০ শতাংশ।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড জেনারেশনকে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। টিআর/কাবিখার মাধ্যমে সোলার হোম সিস্টেম প্রসারে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
২৩ প্রকল্পের আওতায় ১২২০ দশমিক ৭৭ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান। নানা উৎস হতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রও প্রসারিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বিপিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন, এনডব্লিওপিজিসিএল এর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার প্রকৌশলী এ. এম. খোরশেদুল আলম এবং সিএমসি চেয়ারম্যান রুয়ান গুয়াং বক্তব্য রাখেন।