নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান
নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বায়ু বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, পর্যটন, যোগাযোগ, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য এবং ওষুধ ইত্যাদি খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। গতকাল চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খানের সঙ্গে তুরস্ক-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (টিবিসিসিআই)-এর সভাপতি ফ্রিকরেট চিচেকের বৈঠক কালে এ আহ্বান জানান তিনি। এ সময় তিনি আগামী ১৬-২২ জুন তুরস্কে অনুষ্ঠিতব্য তুর্কি ওয়ার্ল্ড ট্রেড ব্রিজ শীর্ষক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশস্থ তুরস্ক দূতাবাসের বিজনেস কাউন্সিলর টুলে ইয়ানিক এবং তুরস্ক-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সেক্রেটারি জেনারেল মুরাট কারাকা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান তুরস্কের বিজনেস কাউন্সিলকে ডিসিসিআইতে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বায়ু বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, পর্যটন, যোগাযোগ, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য এবং ওষুধ ইত্যাদি খাতে তুরস্কের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য ট্যাক্স হলিডে, টেকনিক্যাল নো-হাউ, যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর শুল্ক মওকুফসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে। এ সব সুবিধা গ্রহণ করে তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত সকল বিরোধ দ্রুত নিরসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণে ঢাকা চেম্বারের ‘ডিসিসিআই হেল্প ডেস্ক’ খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা নিজেদের কাঙ্ক্ষিত উদ্যোক্তা খুঁজে পাবে।
তুরস্ক-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (টিবিসিসিআই)-এর সভাপতি ফ্রিকরেট চিচেক বলেন, তুরস্কের সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী এবং এ থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ইউরোপের বাজারে তুরস্কের জন্য বিদ্যমান জিএসপি সুবিধা ভোগ করে নিজেদের পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। তিনি দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।