নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এডিবির ১১ কোটি ডলার
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহায়তা বাড়াচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ লক্ষ্যে চলমান পাবলিক প্রাইভেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে নতুন করে আরও ১১ কোটি মার্কিন ডলার দিয়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে এডিবির সঙ্গে ঋণচুক্তি করেছে সরকার। রোববার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এবং এডিবির পক্ষে ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ওলেগ টনকন ওজেনকোব।
চুক্তির আওতায় সেচ পাম্পে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে ১ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। এশীয় উন্নয়ন তহবিল (এডিএফ) থেকে সহজ শর্তেই পাওয়া যাবে এ ঋণ। শুধু সৌরবিদ্যুতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে। এর বাইরে তুলনামূলক কঠিন শর্তে ১০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে এডিবির অর্ডিনারি ক্যাপিটাল রিসোর্স থেকে। দুটি ঋণই ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে ঋণের রেয়াতকাল ৫ বছর। চুক্তি অনুষ্ঠানে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, চলমান ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ মোট জিডিপির ৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে নানামুখী প্রতিবন্ধকতার কারণে এখন পর্যন্ত এর হার ৩ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এডিবির এ ঋণ বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ভালো ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ইআরডি সচিব আরও বলেন, প্রকল্পের আওতায় সৌর শক্তির মাধ্যমে সেচ পাম্প পরিচালনা করা হবে। ফলে বিদ্যুতের ওপর চাপ কমবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রেয়াতকালপরবর্তী সময়ে এডিএফ ঋণের সুদের হার মাত্র ২ শতাংশ। ওসিআর ঋণের ১০ কোটি ডলারে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেটের (লাইবর) সঙ্গে দশমিক ৪ শতাংশ যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করা হবে। নির্ধারিত সময়ে কাজ করতে না পারলে কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে দশমিক ১৫ শতাংশ। এছাড়াও প্রিমিয়াম চার্জ পরিশোধ করতে হবে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ইআরডির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল)। ইডকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলমান প্রকল্পে এডিবি ছাড়াও সহায়তা করছে বিশ্বব্যাংক ও জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)। এরই মধ্যে এর আওতায় বিশ্বব্যাংক ৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার ছাড় করেছে। আর জাইকা দিয়েছে ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৩ হাজার সৌর প্যানেলের মাধ্যমে প্রতি বছর ডিজেল আমদানি বাবদ ৩২ লাখ মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব।