নভেম্বরে বড়পুকুরিয়ার আরও ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে

আগামী নভেম্বরে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আরও ২৭৫ মেগওয়াট জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শুক্রবার বড়পুকুরিয়ায় কয়লাভিত্তিক নবনির্মিত ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শণকালে হামিদ একথা বলেন।

এর মধ্য দিয়ে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ হবে বলে জানান তিনি।

বড়পুকুরিয়ায় আগে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক ২৫০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। নতুন প্রকল্পের ২৭৫ মেগাওয়াট নিয়ে এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে মোট ৫২৫ মেগাওয়াট।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পটি ২০১৫ সালে শুরু করা হয়েছিল, যা সম্পন্ন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা ছিল ২০১৮ সালের জুলাই মাসের দিকে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই এখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। এখানে নিজস্ব কয়লা ব্যবহার করে অল্প খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

তিনি বলেন, ভেড়ামারায় আরও ৫শ মেগাওয়াট ও সৈয়দপুরে দেড়শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে যাচ্ছে সরকার, যাতে এই অঞ্চলে কোনোভাবেই বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার, প্রকল্প পরিচালক চৌধুরী নুরুজ্জামান, প্রকল্পের প্রধান পরামর্শক শান্তানু চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

শান্তানু চৌধুরী বলেন, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে নতুন এই প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে, যা থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

তিনি বলেন, নতুন প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০০ মেগাওয়াট। এই প্রকল্পে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।