নাইকো চুক্তির কার্যকরিতা স্থগিত: বাতিলের রুল

নাইকোর সাথে করা চুক্তির কার্যকরিতা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একই সাথে এই চুক্তি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।
সোমবার হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ ও রুল জারি করে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম এর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এই রায় দেয়া হয়।বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দিয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবং নাইকো কানাডা ও নাইকো বাংলাদেশকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানজীব-উল আলম। তাঁকে সহায়তা করেন আইনজীবী ইমরান আনোয়ার।
ছাতকের টেংরাটিলায় গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্সের সাথে কানাডার কোম্পানি নাইকো রিসোর্সের চুক্তি হয়।
২০০৩ সালে বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য নাইকোর সঙ্গে দুটি চুক্তি করে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলা। চুক্তি অনুযায়ি মোট শেয়ারের ১০ ভাগ ছিল বাপেক্সের। চুক্তি দুটির একটি বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার অন্যটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ ও কেনাবেচার।
২০০৫ সালে টেংরাটিলায় গ্যাস উত্তোলন কূপ খননের সময় দুদফা বিষ্ফোরণ হয়। এই দুর্ঘটনার জন্য নাইকো দায়ী ছিল। কিন্তু নাইকো ক্ষতিপূরণ করতে অস্বীকার করে। আর তা নিয়েই মামলা চলছে। নাইকো এই ক্ষতির অর্থ না দিতে ইকসিডে (বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আদালত) মামলা করেছে। এই মামলার চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায়।