নাইকো মামলার রায় দিতে সময় বাড়ালো ইকসিড

ফেনী গ্যাসক্ষেত্রর পাওনা টাকা আদায়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপুটেড  (ইকসিড) নাইকোর করা মামলার রায় দিতে সময় বাড়িয়েছে। ১৫ নভেম্বর এই মামলার রায় দেয়ার কথা ছিল। নতুন করে রায় দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
রায় দিতে আরও দেরি হবে বলে পেট্রোবাংলাকে ইকসিড জানিয়ে দিয়েছে।  ২০১০ সালের মে মাসে নাইকো ইকসিড এ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। একটি টেংরাটিলার বিষ্ফোরণের ক্ষতি বিষয়ে অন্যটি ফেনী ক্ষেত্রর গ্যাসের টাকা আটকে রাখার বিষয়ে।
এদিকে টেংরাটিলার ক্ষতি আদায়ের জন্য ফেণী গ্যাসের অর্থ আটকে রাখার আবেদন করে পেট্রোবাংলা স্থাণীয় কোর্টে মামলা করে। বাংলাদেশের কোর্ট টেংরাটিলা ক্ষতি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ফেনীর অর্থ আটকে রাখার পক্ষে রায় দেয়। একই সাথে তাদের সকল ব্যাংক লেনদেনও স্থির করে দেয়।
২০১৩ সালের ১৯ আগষ্ট দুই মামলার মধ্যে টেংরাটিলার বিষয়ে স্থানীয় আদালতের রায়ই চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়ে দেয় ইকসিড। ফেনী গ্যাস ক্ষেত্রের বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার কথা জানায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হয়নি।
১৯৫৯ সালে আবিষ্কৃত হয় টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্র। এক্ষেত্র উন্নয়নে ২০০৩ সালের ১৬ অক্টোবর বাপেক্স’র সঙ্গে যৌথ চুক্তি করে নাইকো। গ্যাস উত্তোলনের জন্য কূপ খননের সময় ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি প্রথম দফা ও একই বছরের ২৪ জুন দ্বিতীয় দফা বিষ্ফোরণ ঘটে।
এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় আদালতে ৭৪৬ কোটি টাকা বা ৩৫ দশমিক ৫৩৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপুরণ চেয়ে নাইকোর বিরুদ্ধে মামলা করে সরকার। আদালত ক্ষতিপুরণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত নাইকোর কাছ থেকে প্রাপ্ত গ্যাসের দাম না দেয়ার জন্য পেট্রোবাংলাকে নির্দেশ দেয় ও নাইকোর সব ধরনের ব্যাংক হিসাব সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।
এ মামলার আগে ক্ষতিপূরণের সঙ্গে সমন্বয় করতে নাইকোর অধীন ফেনী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত গ্যাসের দাম দেয়া বন্ধ করে দেয় পেট্রোবাংলা। ওই ক্ষেত্রের গ্যাসের দাম বাবদ নাইকো পেট্রোবাংলার কাছে প্রায় তিন কোটি ৪০ লাখ ডলার পাওনা রয়েছে। পরবর্তীকালে নাইকোর ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়া হলেও মূল সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।
এ অবস্থায় ২০১০ সালে নাইকো মামলা দু’টি করে।