নাসার তথ্য বিনামূল্যে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করবে। স্মার্ট কৃষি, অভিযোজনে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি বিনিময়সহ টেকসই উন্নয়নে সার্বিক সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার সচিবালয়ে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব আলোচনা হয়।
বৈঠকে নাসার দেয়া আবহাওয়ার তথ্য বিনামূল্যে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। হিমালয়ের বরফ গলে যাওয়া, বন উজাড় হওয়া, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়া, দূষণসহ বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে নাসার কাছ থেকে।
বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিনে ডোনাল্ড লু জলবায়ু মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক শেষে জানান ডোনাল্ড লু। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কীভাবে একসাথে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয়ের মধ্যে খুব ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে। শুধু আর্থিক নয় প্রযুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ মন্ত্রী।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, বলেন, অতীত নয় ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কিভাবে আরো এগিয়ে নিতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু, পরিবেশ বিষয়ে সহযোগিতাকে একটা কাঠামোর ভেতর আনতে চাই। জলবায়ু ইস্যুতে শুধু আর্থিক নয় প্রযুক্তির উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেছি।
নাসার স্যাটেলাইট যখন দক্ষিন এশীয় অঞ্চলে যখন কাজ শুরু করবে তখন বিনামূল্যে বা কম মূল্যে হয়তো স্যাটেলাইটের তথ্য রিয়েল টাইম পাবো। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য পাবো।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু ইস্যুতে লক্ষ্য অভিন্ন। জলবায়ু, পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন – এর ভিত্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতায় বর্তমান সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণে পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত ১০টি নদীর মধ্যে পদ্মা ও যমুনা আছে বলে জানান মন্ত্রী।
বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস; দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর চিফ অফ স্টাফ নাথানিয়েল হাফ্ট; নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো অফিসের রাজনৈতিক ইউনিট প্রধান সারাহ অলড্রিচ; ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কাউন্সেলর আর্তুরো হাইন্স, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল ইউনিট চিফ শেরিন ফিটজেরাল্ড এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথু বেহ উপস্থিত ছিলেন।