নিন্মমানের বৈদ্যুতিক স্থাপনার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে
ঢাকায় অগ্নিকান্ডের বেশিরভাগই ঘটেছে বৈদ্যুতিক ক্রুটির কারণে। পরিবেশ ও জননিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে ভবন নির্মাণে দিকনির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও তা সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না বলে ক্রমশই বাড়ছে এ ধরনের দুর্ঘটনা।
শনিবার রাজধানীর চারুকলা অনুষদের সামনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ (পবা) ১১টি সংগঠনের উদ্যোগে ‘বহুতল ভবন, শপিংমল, হাসপাতাল, শিল্পকারখানায় অগ্নি নির্বাপণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এক মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবার সম্পাদক মাহবুবুল আলম তাহিন, সহ-সম্পাদক মো. সেলিম, স্থপতি শাহীন আজিজ, পবার প্রোগ্রাম অফিসার তানভীর মাসুম, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ-এর সভাপতি আমিরুল হাসান,সহ অন্যরা।
আবদুস সোবহান বলেন, বহুতল ভবনগুলো প্রায় কোনো রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই নির্মাণ করা হচ্ছে।। ফলে বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনা বাড়ছে। বহুতল ভবনের নিরাপত্তা এবং অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা সুরক্ষিত করা গেলে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমিয়ে আনা যাবে। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে ঢাকা ও চট্রগ্রামে কমপক্ষে ১ হাজার ৫১৩টি বহুতল ভবন অত্যধিক আগুন ঝুঁকিতে রয়েছে। অনেক ভবন মালিক নির্মাণের আগে ফায়ার সার্ভিসের এনওসি গ্রহণ করলেও নির্মাণকালে তা বাস্তবায়ন করেন না। বৈদ্যুতিক শট সার্কিটই বেশিরভাগ অগ্নিকান্ডের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। মাহবুবুল আলম তাহিন বলেন, দুর্ঘটনা মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে জনসাধারণকে অগ্নিকান্ডের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
বক্তারা বলেন, বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকতে হবে। বায়ু চলাচল সিস্টেম, বেজমেন্ট মুক্ত রাখা, বেজমেন্ট ও ছাদে জরুরী জলাধার স্থাপন, জরুরী বহির্গমন পথ রাখতে হবে। গত কয়েকবছরে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে জানমালের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে নিম্নমানের বৈদ্যুতিক স্থাপনা ও দুর্বল ব্যবস্থাপনা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।