ন্যাপথা দিয়ে বিদ্যুৎ উত্পাদনের চিন্তা বাদ

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বিকল্প জ্বালানি ন্যাপথা দিয়ে বিদ্যুৎ উত্পাদনের চিন্তা থেকে সরে এসেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।খুব শিঘ্র এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।কয়লা বিদ্যুৎ উত্পাদনে ক্ষতির বিষয়ে পরিবেশবাদীদের সোচ্চার অবস্থানের মধ্যে সরকার পরিবেশ রক্ষায় ন্যাপথা দিয়ে বিদ্যুৎ উত্পাদন না করার সিদ্ধান্ত নিতেযাচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগে শুধু শুধু সময় নষ্ট হয়।ন্যাপথা দিয়ে বিদ্যুৎ উত্পাদন ক্ষতিকর জেনেও সাবেক বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রীর চাপে ন্যাপথা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়।কাজের কাজ না করে এভাবে শুধু শুধু সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না বলে তিনি মন্তব্যকরেন। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, পিডিবির কারিগরি কমিটি ন্যাপথা দিয়ে বিদ্যুৎ উত্পাদন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানায়।ওই প্রতিবেদনের পরও পিডিবিকে ন্যাপথা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বানে বাধ্য করা হয়।চট্টগ্রামে-১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রর জন্য গত বছর মার্চে দরপত্র আহ্বান করা হয়।এ্যাকরন লিমিটেড একক দরদাতা হিসেবে দরপত্র জমা দেয়।তাদের দর অনুযায়ি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ২৬ দশমিক ১৭ সেন্ট।দরপত্রটি মূল্যায়ন করে পিডিবি বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে মতামত চেয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, ন্যাপথা পোড়ালে বেশি মাত্রায় কার্বণ নিষ্মরন হবে যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।এতে স্বাস্থ্যগত ঝুকি বাড়বে।এছাড়া ন্যাপথায় ১৬০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক জ্বালানিও পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।বিদেশ থেকে ন্যাপথা আমদানী করতে গেলে ফার্নেস অয়েলের চেয়ে বিদ্যুৎ উত্পাদনে বেশি খরচ হবে। ন্যাপথার হ্যান্ডেলিং কিভাবে হবে তারও ঠিক নেই।আর যে কোম্পানি ন্যাপথা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করবে তাদের পূর্বঅভিজ্ঞতাও নেই।এসব বিষয়কে মাথায় রেখেই বিকল্প জ্বালানি ন্যাপথা থেকে বিদ্যুৎ উত্পাদনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার।তবে সব থেকে পরিবেশগত ঝুকির বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে।নীতিগতভাবে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তাজানান।

 

বাংলাদেশ ইস্টার্ণ রিফাইনারী (ইআরএল) বছরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধন পক্রিয়ায় বছরে এক লাখ টন ন্যাপথা উত্পাদন করে।এর প্রায় পুরোটাই রফতানি করা হয়।ইস্টার্ন রিফাইনারীও বলে আসছে তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এত বেশি পরিমান ন্যাপথা সরবরাহ করতে পারবে না।