পরমাণু সমঝোতায় কমে গেল তেলের দাম

পরমাণু আলোচনায় সবগুলো ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছেছেন ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির প্রতিনিধিরা। আর এ সফলতার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচারের পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে পড়ে গেছে অপরিশোধিত তেলের দাম।

ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির আলোচনা সফলের খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম পড়ে গেছে। আর্থিক হিসাবে এ পতন ব্যারেলপ্রতি ১.২১ ডলার (৯৪.৭৬ টাকা)। বর্তমানে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৫৬.৬৬ ডলার (৪ হাজার ৪৩৭ টাকা ১০ পয়সা)।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরমাণু চুক্তির ফলে ইরান যদি আবার বাজারে ফিরতে পারে তাহলে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে ২০ ডলারে নেমে যেতে পারে।

ভিয়েনায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। ৩০ জুন এ পর্বের ডেডলাইন ধার্য করা থাকলেও তা দুই দফায় ১০ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু এতেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো না গেলে আবার সময় বাড়ানো হয়।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়ার লক্ষে সোমবার (১৩ জুলাই) দিনগত সারারাত বৈঠক করেন প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) স্থানীয় সময় সকালে ইরানি প্রতিনিধিদের ছাড়াই এক দফা বৈঠক করেন ছয় বিশ্বশক্তির প্রতিনিধিরা। এক ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক শেষে আবার ইরানের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়।

১৮ দিনের ম্যারাথন আলোচনা শেষে সফলতার খবর আসে।

অস্ত্র ও ব্যালাস্টিক মিসাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ নিয়েই দর কষাকষি চলছিল বলে জানা গেছে। সবশেষে ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ৫ বছর ও মিসাইল নিষেধাজ্ঞা ৮ বছর বলবৎ থাকবে বলে একমত হন আলোচনায় অংশ নেওয়া সব পক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত অভিযোগের মুখে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ২০০৬ সালে পাশ হয় ১৬৯৬ নম্বর রেজুলিউশন। এই রেজুলউশনের বলে ইরানের ওপর সেসময় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ২০১২ সালে এসে দেশটি থেকে তেল ক্রয়ের ওপর দেওয়া হয় নতুন আরেক নিষেধাজ্ঞা। এরপরই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ছিটকে পড়ে ইরান।