ইআরএল ইউনিট-২ স্থাপনে পরামর্শক হলো ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘ইআইএল’

ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেডকে (ইআইএল) পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দরপত্র ছাড়া বিশেষ আইনের মাধ্যমে এই নিয়োগ দেয়া হলো।
মঙ্গলবার সকালে পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের কার্যালয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট নামে এ প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) পরিচালক (অপারেশন) মোসলেম উদ্দিন ও ইআইএল’র নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং) উপেন্দ্র মহেশ্বরী সাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা, সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফসহ ইআইএল ও বিপিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ২ নম্বর ইউনিটটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এই ইউনিট স্থাপনের সময় বিপিসির পক্ষে সব কাজের তদারকি করবে ইআইএল। এজন্য তারা পাবে ১০০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
চুক্তি সাক্ষরশেষে এক সংবাদ সম্মেলনে নসরুল হামিদ বলেন, ইউনিট বাস্তবায়িত হলে দেশের মোট জ্বালানি চাহিদার ৭৬ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে। দেশের জ্বালানি সক্ষমতা ৩ মিলিয়ন টন বাড়বে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। বর্তমানে একটি ইউনিট দিয়ে দেশের জ্বালানি চাহিদার এক চতুর্থাংশ পূরণ করছে।
ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক আরো ভাল হবে। তিনি বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারত সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
বিপিসি জানা, ইআরএল এর দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনে ফ্রান্সের কোম্পানি টেকনিপ ইপিসি (প্রকৌশল, আহরণ ও নির্মাণ) ঠিকাদার হিসেবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইআরএল এর প্রথম ইউনিট তারাই নির্মান করেছে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে টেকনিপের সঙ্গে বিপিসি ও ইআরএল এর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বর্তমানে তাদের সঙ্গে দর কষাকষি চলছে।
ইআরএল জানায়, দ্বিতীয় ইউনিটটি নির্মিত হলে দেশে তেল পরিশোধনের ক্ষমতা তিন গুণ বেড়ে বার্ষিক ৪৫ লাখ টনে দাঁড়াবে। এটি স্থাপনের পর বিপিসি বছরে মাত্র ১০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ৫৩ লাখ ৯৩ হাজার টন পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। এতে খরচ হয় ২৬ হাজার ৯৪০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।