পরিবেশের ক্ষতি করায় ছয় কারখানাকে জরিমানা
পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট অভিযানে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নাটোর জেলার ৬টি কারখানা/প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ক্ষতিসাধনের জন্য রোববার শুনানি শেষে এ জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে ২টি ডাইং কারখানা, ২টি রি-রোলিং মিল, ১টি সিরামিক কারখানা ও ১টি পৌরসভা। একইদিন অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তর ঢাকা এর পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) মোঃ আলমগীর এর নেতৃত্বে একটি টিম গত ৩০/০৬/২০১৪, ১৮/০৮/২০১৪ ও ২৫/০৮/২০১৪ তারিখে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন ডাইং, ওয়াশিং ও সিরামিক কারখানা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ত্রুটিপূর্ণ ইটিপির মাধ্যমে ডায়িং কার্যক্রম পরিচালনা করে পরিবেশ, প্রতিবেশ জলজ জীববৈচিত্র্য ক্ষতিসাধনের অপরাধে(১) ফখরুদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিঃ, মাওনা শ্রীপুর, গাজীপুরকে-১০ লাখ টাকা এবং কারখানার সৃষ্ট তরল বর্জ্য বাইপাসের মাধ্যমে অপরিশোধিত অবস্থায় ড্রেনের মাধ্যমে বাইরে ফেলে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জলজ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিসাধনের অপরাধে (২) এক্স সিরামিকস লিঃ, বহেরারচালা, শ্রীপুর, গাজীপুর-কে ৫ লাখ টাকা; ইটিপি বন্ধ রেখে কারখানা ডাইং কার্যক্রম পরিচালনা করার অপরাধে (৩) আলফা এগ্রো লিঃ কাঁচারীপাড়া, রাজেন্দ্রপুর. গাজীপুরকে-১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও বাতাসে নির্গত ভাসমান বস্তুকণা (এসপিএম) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য মানমাত্রার বাইরে থাকার কারণে (৪) মেসার্স কামাল স্টিল অ্যান্ড রিরোলিং মিলস লিঃ শ্যামপুর কদমতলী শিল্প এলাকা, ঢাকা-কে ১ লাখ টাকা; (৫) আলী আহমেদ রি-রোলিং মিলস (প্রাঃ) লিঃ ধনকুন্ডা, গোদলাইন, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ-কে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদের মধ্যে সরকারী অনুমতি ছাড়া নাটোরের গুরুদাসপুরে নন্দকুজা নদী ভরাট করে দোকান-পাঠ নির্মাণ করার দায়ে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার মেয়র-কে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের শুনানিতে অংশগ্রহণকারী বর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষে উপস্থিত মালিক/প্রতিনিধিরা অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার করেন।