রামপাল বিদ্যুৎ এখনও পরিবেশ ছাড়পত্র পায়নি: পরিবেশ মন্ত্রী

পরিবেশ ছাড়পত্র পায়নি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: পরিবেশ মন্ত্রী
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে এখন পর্যন্ত পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হলে সুন্দরবনের ক্ণষতি হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

জাতীয় পার্টির এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) প্রতিবেদন অনুযায়ি পরিবেশের যথাযথ ব্যবস্থা নিলে সুন্দরবনের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নকশা অনুযায়ি করলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। সুন্দরবনের ওপর স্থানীয় মানুষের নির্ভরশীলতা কমে যাবে।
বাগেরহাটের রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ভারত যৌথভাবে গঠন করা কোম্পানি এই কেন্দ্র স্থাপন করছে।

‘মৈত্রী সুপার থারমাল’ নামের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবনের ইউনেস্কো ঘোষিত হেরিটেজ অংশ থেকে ৬৯ কিলোমিটার এবং সুন্দরবনের প্রান্তসীমা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সুন্দরবনে চার দফা অগ্নিকাণ্ডে পরিবেশসহ লতাগুল্মের ক্ষতি হয়েছে। চার দফার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষতি যাতে না হয় তার জন্য নানাবিধ কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেণ্ডশিপ কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জল কান্তি ভট্ট্রাচার্য এনার্জি বাংলাকে বলেন, ইআইএ প্রতিবেদন আমাদের কাছে আছে। সে অনুযায়ি এই কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না।