পরিবেশ মন্ত্রীর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র উপ-সহকারী মন্ত্রীর বৈঠক
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের ভিত্তিতে আগামী দিনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায়৷
সাবের হোসেন চৌধুরী রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এ সব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের আলোকে তারা কীভাবে আমাদের চাহিদা মেটাতে সহযোগিতা করবে সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করে একটি নতুন প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের সকল উন্নয়ন সহযোগীরা সেখানে সাহায্য করতে পারে। আমি আশাবাদী, আমেরিকাও থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় তারা আমাদের চাহিদার কথা মাথায় রাখবে।
আলোচনায় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়ন প্রচারে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
উভয় পক্ষই পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং এই অঞ্চলের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের টেকসই সুবিধা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লাফেভ, মাইকেল শিফার, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)’র এশিয়ার জন্য ব্যুরোর সহকারী প্রশাসক আল্লা কামিনস, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অফ সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স ও পারমাণবিক নিরাপত্তা ও অপ্রসারণের উপ-পরিচালক হেইলি বেকার, ইউএসএআইডি-তে ব্যুরোর এশিয়া ফর স্টাফের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান এবং ব্রনউইন লেভেলিন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ কর্মকর্তা সহ বিশিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।