পল্লী বিদ্যুতে দুর্নীতি এখনও শেষ হয়নি

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পল্লী বিদ্যুতে দুর্নীতি এখনও শেষ হয়নি। নতুন সংযোগ দিতে দুর্নীতি কমে গেলেও তা এখনও আছে। নতুন সংযোগ দিতে আরও স্বচ্ছতা হতে হবে।

আজ শনিবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি)’র পবিসগুলোর মহাব্যবস্থাপক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। সম্মেলনে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বক্তব্য দেন। সম্মেলনে বিআরইবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন ও বিআরইবি সদস্য (প্রশাসন) মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহকরা যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহক সেবার মান বাড়িয়ে যথাসময়ে গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ পোঁছাতে হবে। দ্রুত শিল্প সংযোগ দিতে হবে। গ্রাহকসেবায় দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এনে ২৪ ঘন্টা সেবা দিতে হবে। তিনি বলেন, ট্রান্সফরমার বহুতল ভবনের নিচে স্থাপন করতে হবে। রক্ষণাবেক্ষণ জোরদার করতে হবে। জায়গা সাশ্রয়ের জন্য রাজধানীর আশেপাশের সমিতিগুলোতে ৩৩ কেভি মাটির নিচে ক্যাবল এবং উপকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।

গ্রীডের অভাবে যেসব সমিতি বিদ্যুৎ নিতে পারেনা তাদের তালিকা করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিস্টেম লস আগামী এক বছরের মধ্যে কমিয়ে আনতে হবে। মানুষ যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যা আছে তবে আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই বলে কার্যক্রম বন্ধ করলে চলবে না। গ্যাস সংকটের কারণে এক হাজার ৭০০ মেগাওয়াট উৎপাদন কম হচ্ছে। এজন্য কোথাও কোথাও সংকট আছে।

বাড়ি ও ঘরের উপর থেকে বিদ্যুতের লাইন সরানোর নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে সকল স্থানে পোল বাঁকা অবস্থায় আছে তা সোজা করতে হবে। পোল বাঁকা জন্য তিনি ঠিকাদারদের দায়ী করেন। তিনি জেনারেল ম্যানেজারগণকে সার্বিকভাবে তদারকি জোরদারের নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপর নির্ভর করে সরকারের সাফল্য।

বিদ্যুৎ সচিব বাপবিবোর্ড কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি দ্রুত গ্রাহক সংযোগ প্রদানের জন্যও আহ্বান জানান। বিগত অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বাপবিবোর্ডের বর্তমান কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত রাখার জন্যও পরামর্শ প্রদান করেন।
সম্মেলনে বলা হয়, পর্যায়ক্রমে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ মোট ৪৬০টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংখ্যা এক কোটি ৯২ লাখ। দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহক সংখ্যা দুই কোটিতে। বিআরইবি;র পক্ষ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৫০ হাজার কিলোমিটার লাইন এবং ৮০টি উপকেন্দ্র নির্মাণ করে ৪০ লাখ গ্রাহক সংযোগ দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।