পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাধারণ কর্মচারীরা সুবিধা বঞ্চিত

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইন ক্রুসহ সাধারণ কর্মচারীরা নানা হয়রানির শিকার এবং সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।  তারা দৈনিক ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা কাজ করার পরও সুবিধা তো পাচ্ছেন না বরং নানা হয়রানি শিকার হচ্ছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসাসিয়েশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পল্লী বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আ.মান্নান, সহ সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
সভাপতি বলেন, সরকারি- আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরা ট্রেড ইউনিয়ন ও সমিতি করার সুযোগ পাচ্ছেন।  অথচ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লাইন ক্রুদের ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। যদিও ট্রেড ইউনিয়ন কিংবা সমিতি করার অধিকার  বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক শ্রম আইন স্বীকৃত।
তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার পাবার জন্য আমরা গত মার্চ মাসে প্রথম- শ্রম আদালতে মামলা করি। আদালত আবেদনকারী শ্রমিকদের পক্ষে গত ১৭ জুন রায় দিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছেন। যা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কোনো কথা বলব না, বলতেও চাই না।
এনায়েত হোসেন বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাইরে ডেসা, সেস্কো , পিডিবিসহ অন্যান্য বিদ্যুৎ সেক্টরের কর্মচারী নির্ধারিত সময়ের বেশি ডিউটি করলে তাদেরকে ওভার টাইম দেয়া হয়। একই সঙ্গে শতকরা ৩০ ভাগ ঝুকি ভাতাও দেয়া হয়।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল পেয়ে থাকেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। এখানে কর্মকর্তারা পান ৩০০ ইউনিট এবং কর্মচারীরা পান ১৫০ ইউনিচ বিদ্যুৎ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সাপ্তাহিক ছুটি পাচ্ছেন দুদিন। আর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির  কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সাপ্তাহিক ছুটি পান এক দিন। তবে লাইন ক্রুরা সপ্তাহিক এক দিন ছুটিও পান নাএছাড়া সরকারের প্রদেয় পে স্কেল নির্ধারণের ক্ষেত্রেও রয়েছে বৈষম্য। কর্মকর্তাদের জন্য শতকরা ৮৫ ভাগ আর কর্মচারীদের শতকরা পাচ্ছেন ৫৫ ভাগ।