পাঁচ মাস পর বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলন

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে পাঁচমাস পর আবার কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে খনির নতুন স্তর থেকে এ কাজ  শুরু হয়। প্রথম দিনে ২ হাজার ৭৬৮ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
চলতি বছরের ১০ মে খনি ভূ-গর্ভে ১২০৫ নম্বর কোল ফেইজ-এ কয়লা কাটার সময় উপরের পানির পকেট ভেঙ্গে পড়ে জলাধারের সৃষ্টি হয়। প্রথম দিকে খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষন (এম এন্ড পি) ঠিকাদার সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম খনি ভূ-গর্ভে স্থাপিত পাম্পের সাহায্যে পানি সরিয়ে ফেলে কয়লা উৎপাদন শুরুর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দিয়ে কোল ফেইজটি সাময়িকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর নতুন ১২১২ নম্বর কোল ফেইজ উন্নয়ন করে মাইনিং ইকুইপমেন্ট বসিয়ে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহা ব্যবস্থাপক হাবিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১২১২ নম্বর কোল ফেইজ-এ লংওয়াল মাল্টি স্লাইস পদ্ধতিতে কয়লা কেটে উত্তোলন করা হচ্ছে এবং সঙ্গে সঙ্গে টপ কোল কেভিং পদ্ধতিতে কয়লা কাটার জন্য মাইনিং ইকুইপমেন্ট বসানো হচ্ছে। এভাবে আরও আট থেকে দশ দিন কয়লা উত্তোলন করা হবে। এরপর টপ কোল কেভিং পদ্ধতিতে পুরোদমে প্রতিদিন সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উৎপাদন শুরু হবে।
তবে এই সময় বড়পুকুরিয়ার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে কয়লার কোনো সংকট হয়নি। প্রতিদিন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। তবে ১টি ইউনিট চালু থাকলে প্রতিদিন ১ হাজার মেট্রিক টন কয়লার দরকার হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রে যাতে কয়লার কোনো সংকট না হয় সেজন্য নতুন করে কয়লা উত্তোলনের আগে পর্যন্ত মজুদ করা কয়লা বিক্রি বন্ধ রেখেছিল কর্তৃপক্ষ।