পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় অস্বাভাবিক বাড়ল বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম

ইবি ডেস্ক:
পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় একসাথে অস্বাভাবিক পরিমান জ্বালানি-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি তারা নতুন দাম কার্যকর করেছে। পাকিস্তান অস্বাভাবিক পরিমান বাড়িয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। শ্রীলঙ্কা বাড়িয়ে বিদ্যুতের দাম। দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশই আইএমএফএর ঋণ পেতে বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে।

পাকিস্তানে ডিজেলের লিটার ২৮০ রুপি
পাকিস্তানে ডিজেল ও পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে যথাক্রমে প্রতি লিটার ২৮০ রুপি এবং ২৭২ রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি ছাড় করাতেই এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
এই দাম দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। অর্থ বিভাগ এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়নকে দায়ী করেছে।
প্রতি লিটার পেট্রলের দাম হয়েছে ২২ দশমিক ২০ রুপি বাড়িয়ে ২৭২ টাকা; হাইস্পিড ডিজেল ১৭ দশমিক ২০ রুপি বাড়িয়ে ২৮০ রুপি; কেরোসিন ১২ দশমিক ৯০ রুপি বাড়িয়ে ২০২ দশমিক ৭৩ রুপি এবং হালকা ডিজেলের দাম ৯ দশমিক ৬৮ রুপি বাড়িয়ে ১৯৬ দশমিক ৬৮ রুপি করা হয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ২৭৫ শতাংশ
শ্রীলঙ্কায় একবারে বিদ্যুতের দাম ২৭৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। কয়েকমাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে দেশটি।
শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎমন্ত্রী কাঞ্চন ওয়াজিসেকারা জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কা আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে বেলআউট প্যাকেজের আবেদন জানানো হয়েছে। বেলআউট পেতে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক এই সংস্থা থেকে আমাদের কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেসব শর্তের মধ্যে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিও আছে। খরচ যোগানোর জন্য রাজস্ব আরও বাড়াতে হবে। খরচ মেটাতে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। রাজস্ব আয় বাড়ালে তা দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জ্বালানি কেনা যাবে। এখন দেশে প্রতিদিন অন্তত ১৪০ মিনিট করে লোডশেডিং হচ্ছে। রাজস্ব আয় বাড়লে এর অবসান হবে।
শ্রীলঙ্কায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দিতে হবে কমপক্ষে ৩০ রুপি করে। ছয় মাস আগে দেশটিতে বিদ্যুতের দাম ২৬৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। শ্রীলঙ্কায় গত বছর প্রতিদিন গড়ে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে।