বিদ্যুৎ পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হন – প্রধানমন্ত্রীর
পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, অন্যান্য কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহারে যদি একটু সাশ্রয়ী হয় তাহলেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে লোডশেডিং অনেকাংশে কামনো সম্ভব হবে।
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় (বাজেট) অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বকালে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজ হাতে বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করলে সম্মান যায় না। নিজেদের বিদ্যুৎ বিলও কমে। এ কথা মাথায় রেখে হলেও বাসাবাড়ি বা অফিসে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া যায়। সবাইকে মনে রাখা দরকার টেলিভিশন বন্ধ থাকার পরেও যে লাল বাতি জ্বলে তাতেও কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বিল উঠে। তাই টিভি দেখার পর অন্তত মেইন সুইচ বন্ধ করার অভ্যাস করুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিন দিন বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। বর্তমানে ১১ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া চার কোটি ৮০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এসব ক্ষেত্রেও বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। প্রতিদিন মোবাইল চার্জ দেয়া এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের বিদ্যুতের বড় একটি অংশ ব্যবহার হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের মসজিদগুলোতে শুধুমাত্র লাইট জ্বালানোর জন্য সোলার প্যানেল ব্যবহার করা যেতে পারে। অধিক প্রয়োজন ছাড়া লাইনের বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেই অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।উৎপাদন খরচ দিলে আরো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে আমরা সোলার প্যানেল, বায়োগ্যাস পদ্ধতি ও পরমানুবিক কেন্দ্রের মতো বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছি। শুধুমাত্র ঢাকা নয় সারাদেশকেই লোডশেডিং মুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, পরমানুবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। এরপর দক্ষিণাঞ্চলে আরো একটি পরমানুবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০১৩/২০৪০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষমাত্রা রয়েছে। এসব হলে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে।
ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র তারকা চিহিৃত প্রশ্ন ৩৮ এর সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।