পিডিবি লোকসানের শীর্ষে, তালিকায় আছে আরইবি
দেশের সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসান দেয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। শুধু সর্বোচ্চ লোকসানই নয় মোট লোকসানের ৮০ ভাগই এই প্রতিষ্ঠানের।
অর্থনৈতিক সমীক্ষায় এই তধ্য দেয়া হয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে লোকসান দিয়েছে পিডিবি।
সরকারি ৪৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫টি লাভজনক ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠান না লাভ না লোকসান এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠানে লোকসানে রয়েছে। ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মোট লোকসানের পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা।এরমধ্যে সর্বোচ্চ লোকসানে আছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এর লোকসান বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বিজেএমসির নিট লোকসান ৬৯৫ কোটি টাকা। পল্লিবিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) নিট লোকসান বেড়ে হয়েছে ৫৯২ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩৫১ কোটি টাকা। ১৩ প্রতিষ্ঠানের মোট লোকসানের প্রায় ৮১দশমিক ৭০ শতাংশ পিডিবি’র লোকসান।
কম মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এখাতে লোকসান বলে জানানো হয়েছে। লোকসানের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোতে অনুদান বা ভর্তুকির পরিমাণ প্রতিবছরই বাড়ছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্যানুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিকট ৩০ রাষ্ট্রীয় সংস্থার মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে খেলাপি ১১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
মাত্র পাঁচ বছর ব্যবধানে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তুকির পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তুকি দেওয়া হয় ৫৯১ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল যথাক্রমে ৮২৬ কোটি টাকা এবং এক হাজার ১০৯ কোটি টাকা। সংশোধিত প্রাক্কলন অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৪৮৫ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনে (বিআইডব্লিউটিএ)। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ভর্তুকি বেড়ে দাঁড়াবে ৪১৭ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনকে (বিসিক) চলতি অর্থবছরে ২০৮ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে, যা গত অর্থবছরে ছিল ১৬৩ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থার লোকসান ছিল দুই হাজার ৬০৮ কোটি টাকা।