পুঁজিবাজারের টাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত

বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে অবশেষে পুঁজিবাজারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এবিষয়ে চ’ড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। রাস্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) মাধ্যমে এই টাকা সংগ্রহ করা হবে।
বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে এক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। ইনভেষ্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) প্রতিবদন পাওয়া সাপেক্ষে এবিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড.তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম এসময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এপিএসসিএল নিয়ে ব্যাক- ইপিএল ও আইসিবি দু‘টি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন। সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়, আইসিটি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশন, এপিএসসিএল ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকভাবে পুজিবাজার থেকে এক হাজার কোটি টাকা নিতে চাই। যদিও এ কোম্পানির যে সম্পদ আছে তা থেকে আরও বেশি অর্থ নেয়া সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, মানুষের আয় বেড়েছে, সঞ্চিত অর্থ বিনিয়োগ করতে চায়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা নিরাপদ ও আয়বর্ধক। কোম্পানিগুলো নিজেরাই অর্থ সংগ্রহ করতে পারলে সরকারের উপর চাপ কমে। তাছাড়া এপিএসসিএল-এর মতো সম্পদশীল ও মৌলভিত্তিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসলে বিনিয়োগকারিদের আস্থাও বাড়বে।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি। পিডিবি’র অধীনে পরিচালিত হয়। এপিএসসিএল ২৮ জুন ২০০০ সালে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এ নিবন্ধিত হয়। বর্তমানে এই কোম্পানি দেশের মোট চাহিদার ১৬ ভাগ বিদ্যুৎ যোগান দেয়। নয়টি ইউনিটে এক হাজার ১২৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। গড়ে ৯৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।