পেট্রোল রপ্তানিতে সাড়া পাচ্ছে না বিপিসি
পেট্রোল-অকটেন রপ্তানি করতে আগ্রহী কোম্পানির সাড়া পাচ্ছে না বিপিসি।
সোমবার দরপত্র জমা দেয়ার শেষদিন মাত্র দু’টি কোম্পানি দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছে।
গত জুলাই মাসে ১৫ হাজার পেট্রোল-অকটেন রপ্তানির জন্য দরপত্র আহ্বান করে বাংলাদেশ পেটোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম হওয়ায় দরপ্রস্তাব কম জমা পড়েছে।
গত সপ্তাহে ৫০ ডলারেরও নীচে অপরিশোধিত তেল আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়েছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান এ এম বদরুদোজ্জা জানান, শেষ দিনে দুটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ণ করে এরমধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতাকেই কাজ দেয়া হবে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দুই লাখ মেট্রিক টন পেট্রোল ও অকটেন রপ্তানির সক্ষমতা আছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশর গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলনের সময় গ্যাস সঙ্গে সঙ্গে কিছু তরল কনডেনসেটও উঠে। এই কনডেনসেট পরিশোধিত করে কয়েক ধরণের জ্বালানি তেল পাওয়া যায়। এরমধ্যে পেট্রল ও অকটেনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
দেশে বর্তমানে ১৪টি সরকারি ও বেসরকারি প্ল্যান্ট কনডেনসেট পরিশোধন করে পেট্রোল ও অকটেন বিপিসির কাছে বিক্রি করে।
সরকারি চারটি পরিশোধন কেন্দ্র এসজিএফএল, বিজিএফসিএল, আরপিজিসিএল ও ইআরএল ৩ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৪ মেট্রিক টন কনডেনসেট পরিশোধনের করতে পারে। কিন্তু এরচেয়ে কম পরিশোধন করে। অন্যদিকে ১০টি বেসরকারি কোম্পানির ক্ষমতা রয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬৬৪ মেট্রিক টন। তবে তারা এপ্রিল পর্যন্ত পরিশোধন করেছে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন।