প্যারিসের জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশকে সোচ্চার থাকার আহ্বান
প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের অর্থ কোনো শর্ত ছাড়াই অনুদান হিসেবে দেয়ার দাবিতে সোচ্চার থাকতে হবে বাংলাদেশকে। একসঙ্গে এলডিসি ফান্ড যাতে বন্ধ না হয় সে বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ক্লাইমেট পলিটিক্স: রোড টু প্যারিস’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা এ অভিমত দেন। বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ), ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) ও নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এনসিসিবি) এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
প্রসঙ্গত, আগামী নভেম্বর মাসের শেষে প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ। এতে মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পার্টিসিপিশনারী রিসার্স এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এর নির্বাহী পরিচালক এম শামসুদ্দোহ্ াএবং নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বিজয়। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিকেএসফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল মতিন, বিসিজেএফ’র সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের সিটি এডিটর কাওসার রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বিসিজেএফ’র সাধারণ সম্পাাদক মোতাহের হোসেন প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার কারণে বাংলাদেশেও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। ফলে মানুষ গৃহহীন হচ্ছে। তাই জলবায়ু উদ্বাস্তু বিষয়টি এখন বাস্তবতা। এবারের সম্মেলনে জাতিসংঘের ‘উদ্বাস্তু’ সংজ্ঞা পরিবর্তন করে ‘জলবায়ু উদ্বাস্তু’কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, আসন্ন বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কথা বলতে হবে। গ্রিন হাইজ গ্যাস না কমানো হলে বাংলাদেশের মতো অনেক দেশই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে পারবে না। উন্নত দেশগুলো যে হারে কার্বন কমানোর কথা বলছে, তাতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছাড়িয়ে যাবে।
ডা. আবদুল মতিন বলেন, আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোকে ওয়াকওভার না দিয়ে বাংলাদেশের উচিত হবে শক্তিশালী ভূমিকা নেয়া। সাধারণ জনগণের মতামতের প্রতিফলন না ঘটলে সম্মেলনই ব্যর্থ হবে।