প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে জ্বালানি
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের সময় জ্বালানি বিষয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে দুইদেশের ভূতাত্ত্বিক জরিপের বিষযে তথ্য বিনিময়, সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলােচনা হবে। কয়েকটি চুক্তিও হতে পারে।
শনিবার ঢাকার হোটেল সোনারগাও এ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় জ্বালানি সংলাপে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এবং ভারতের পক্ষে ভারতের পেট্টোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয়ের সচিব কে ডি তৃপদি নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। আগামী দিনের জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় উভয় দেশই পারষ্পরিক সহযোগিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় বৈঠকে। তারা উভয় পক্ষ সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে একমত প্রকাশ করেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, জিওলোজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশের (জিএসবি) সঙ্গে জিওলোজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (জিএসআই) এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হওয়ার বিষয়ে আলােচনা হয়েছে। এছাড়া ভারতীয় তেল গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি ওএনজিসির সঙ্গে সাগরে ব্লক-৪ এবং ব্লক-৬ এ তেল গ্যাস অনুসন্ধান, কুতুবদিয়াতে স্থায়ি এলএনজি টার্মিণাল নির্মাণ এবং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বিষয়েও আলোচনা হয়।
সংলাপে তাপি পাইপ লাইনে সংযুক্ত, ভারতীয় নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তুর্কিমিনিস্তান ও ইরান থেকে গ্যাস আমদানি, মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানিতে যৌথ উদ্যোগ নেয়া, নোমালিগড় হতে ডিজেল আমদানি, ব্লু ইকোনমিসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ সময় ভারত পেট্রো কেমিক্যাল ও মোম রপ্তানির প্রস্তাব দেয়।
এর আগে গত বছরের জুন মাসে দিল্লীতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় জ্বালানি সংলাপ আগামী বছরের মার্চে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।