প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ছিল না দেড় ঘন্টা

ভূ-গর্ভস্থ বিদ্যুতের তার কেটে যাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ আশেপাশের এলাকায় প্রায় দেড় ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। রাজধানীর তেজকুনী পাড়া এলাকায় ওয়াসার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠার নাভানা কনন্ট্রাকশন লিমিটেড কাজ করার সময় মাটির নিচের এই বিদ্যুৎ লাইন কেটে ফেলে। এজন্য নাভানাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ডিপিডিসি।
ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার নাভানা কর্তৃপক্ষ রাস্তা খোড়ার সময় ডিপিডিসি’র কারওয়ান বাজার থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (আইসিসি ফিডার) ১১ কেভি ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবল কেটে ফেলে। এতে রাত ১০টা ৫০ মিনিট থেকে ১২টা ১৭মিনিট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ চলে গেলে প্রথমে জেনারেটর দিয়ে পরে রাতেই ডিপিডিসি বিকল্প লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ লাইনটি মেরামতের কাজ চলছে বলে ডিপিডিসি জানায়।

wasa
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। ডিপিডিসির কোম্পানি সচিব ও বিশেষ টাস্কফোর্স প্রধান মুহাম্মদ মুনীর চৌধুরী নাভানার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ডিপিডিসি কার্যালয়ে হাজির হতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
ডিপিডিসি জানায়, নোটিশ পাওয়ার পর বিকেল সাড়ে চারটায় নাভানার পরিচালক (অপারেশন) আসাদুজ্জামান ও উপ মহাব্যবস্থাপক শফিউল ইসলাম খান হাজির হন। তারা কোম্পানির পক্ষ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থণা করেন এবং এটা একটা দুর্ঘটনা বলে জানান।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় রাস্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ আইনের ৪০ ও ৪০ (১) ধারা অনুযায়ী এ ধরনের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরন আদায়সহ জেল জরিমানার বিধান আছে। নিয়ম অনুযায়ী নাভানাকে জরিমানা করা হবে। তবে জরিমানার পরিমান নির্ধারন করা হয়নি।
এর কিছু দিন আগে রাজধানীর মৌচাক-গুলিস্থান ফ্লাইওভারের কাজ করতে গিয়ে তমা কনন্ট্রাকশন রামপুরা-উলনগ্রিড লাইন কেটে ফেলে। এতে প্রায় এক সপ্তাহ আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।