প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর: বিদ্যুৎ জ্বালানির জন্য এক বিলিয়ন ডলার ঋণ চাওয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের জন্য এক বিলিয়ন ডলার ঋণ চাইবে বাংলাদেশ।
মহেশখালীতে গ্যাস পাইপলাইন ও বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন করতে এই অথ খরচ করা হবে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে বাজেটত্তোর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তেলের দাম বেশি হওয়ায় বিদ্যুতে কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
ডলারের দামের কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। গ্যাস সংকটও সহসা কেটে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া এবার বাজেটের মূল উদ্দেশ্য। গত অর্থবছর বিদ্যুতের ১০১ শতাংশ এবং জ্বালানির ১০৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।
গ্যাস অনুসন্ধানে বাজেটের বাইরে আলাদা করে অর্থায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এজন্য আড়াই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। স্থলভাগের গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশী কোম্পানি আনানো হবে বলে তিনি জানানো হবে।
বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজন মতো বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। তবে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।
২০২৫ সালের মধ্যে ৬ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলছে। এরমধ্যে বায়ূ ও সৌর থাকবে। এছাড়া দশ হাজার সৌর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি হচ্ছে স্বীকার করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্রুতই এসমস্যা সমাধান হবে।