প্রবৃদ্ধি হার ৭ দশমিক ০৫, মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ ডলার

চলতি অর্থবছর (২০১৫-১৬) দেশে প্রথমবারের মতো মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫০ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৪৬৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, ‘অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের (জুলাই-মার্চ) তথ্য বিশ্লেষণ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ের এই হিসাব করেছে বিবিএস।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চুড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৬ ভাগ। আর গেল অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৩১৬ ডলার।
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে দেশে ও দেশের বাইরে বলাবলি হচ্ছিল, আমাদের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ঘরে বিরাজ করছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এক কথায় অসাধারণ।’
তিনি বলেন, ‘আগে বিশ্বব্যাংক ও ইউএনডিপি আমাদের অর্থনীতির প্রশংসা করতো। এখন ইউরোপও বলছে যে, বিনিয়োগের পরবর্তী ঠিকানা বাংলাদেশ।’
মন্ত্রী বলেন, বিবিএস‘র হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে দেশে মোট জিডিপি’র ২৯ দশমিক ৬৮ ভাগ বিনিয়োগ হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৬০ ভাগ, শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ১০ ভাগ এবং সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।’
বিবিএস জানিয়েছে, এ ছাড়াও মৎস খাতে ৬ দশমিক ১৯ ভাগ, খনিজ সম্পদে ১২ দশমিক ০৬ ভাগ, শিল্প উৎপাদনে ১০ দশমিক ৩০ ভাগ, বিদ্যুৎ,গ্যাস ও পানি সরবরাহ খাতের প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ১৫ ভাগ, নির্মাণ শিল্পে ৮ দশমিক ৮৭ ভাগ, হোটেলে রেস্তোঁরা খাতে ৭ ভাগ এবং পরিবহণ খাতে ৬ দশমিক ৫১ ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
উল্লেখ্য,অর্থবছরের শুরুতে বাজেট ঘোষণার সময় ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছিল।