প্রায় ২১ হাজার হেক্টর বনায়ন করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত কয়েক বছর প্রায় ২১ হাজার হেক্টর বনায়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই বনায়ন করা হয়েছে। এরমধ্যে
চলতি বছর উপকূলীয় এলাকায় ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর আছে ম্যানগ্রোভ বন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ৩১শে মার্চ ভার্চুয়ালী আয়োজিত মাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় এই বনায়ন করা হয়।
সুফল প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে পাহাড়ীবন এলাকায় ১০ হাজার ৯৩৪ হেক্টর, শালবন এলাকায় ৩ হাজার ৪২৪.৫০ হেক্টর, উপকুলীয় এলাকায় ৪ হাজার ৬১০ হেক্টর বনায়ন করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৪৯৬ কিলোমিটার স্ট্রিপ বনায়ন ও ৬১০ কিলোমিটার গোলপাতা বনায়ন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশের ১৬৫টি উপজেলায় ৩৩ লাখ ৫৪ হাজার চারাসহ মোট ৫১ লক্ষ ৩১ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে।
চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বনায়ন করা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ীবন এলাকায় ১০ হাজার ১০৯ হেক্টর, শালবন এলাকায় ২ হাজার ৮২১ হেক্টর এবং উপকূলীয় এলাকায় ৯৪০ হেক্টর, ৭২০ কিলোমিটার স্ট্রিপ বনায়ন ও ৬৫০ কিলোমিট গোলপাতা বনায়নের জন্য নার্সারি উত্তোলন করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় সাইট-স্পেসিফিক প্লানিং (এসএসপি) প্রনয়ন, স্থানীয় প্রজাতির সংমিশ্রণে বাগান করা, বন্যপ্রাণির আবাসস্থল ও করিডোর উন্নয়ন, বিরল ও সংকটাপন্ন প্রজাতির বনায়ন, বিদেশী ও আগ্রাসী প্রজাতি নিরুৎসাহিত করা এবং বন ব্যবস্থাপনায় বননির্ভর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সভায় বলেন, দেশের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলাসহ সার্বিক পরিবেশ উন্নয়ন করে দেশবাসীকে বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণকালে কিছু কার্যক্রম ব্যহত হলেও যে সকল প্রকল্পে পুকুর খনন ও বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজ আছে তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালিয়ে যেতে হবে। উপমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড এর অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের গুনগত মান বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব জিয়াউল হাসান, সুফল এর প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।