ফুলবাড়িতে এশিয়া এনার্জির তৎপরতা বন্ধের দাবি

ফুলবাড়ীতে নতুন করে এশিয়া এনার্জির তৎপরতার বন্ধ এবং ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
বৃহম্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়। এসময় ফুলবাড়ী আন্দোলনের সমর্থনে আগামী ৩ ডিসেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। প্রেসক্লাব-তোপখানা-পল্টন হয়ে প্রেসক্লাবে এসে মিছিল শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০০৬ এ ফুলবাড়ীর জনগণের রক্তে লেখা ৬ দফা চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি বলে এশিয়া এনার্জি ও দেশের লুটেরা গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এশিয়া এনার্জির নির্বাহী গ্যারি লাই ফুলবাড়ীতে দালাল তৈরি করা এবং ফুলবাড়ীতে যাওয়ার সাহস দেখাতে পেরেছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও রুহিন হোসেন প্রিন্স। জাতীয় কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হক, অ্যাড. আব্দুস সালাম, মোশরেফা মিশু, মোশাররফ হোসেন নান্নু, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, ফকররুদ্দিন কবির আতিক, শামসুজ্জোহাসহ অন্যরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ ‘ফুলবাড়ী  চুক্তি’ অনুযায়ী এশিয়া এনার্জির তৎপরতা বন্ধ ও এদের দেশ থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, এশিয়া এনার্জি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে লন্ডনের শেয়ার বাজারে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এদের তৎপরতা অব্যাহত রাখতে ফুলবাড়ীসহ দেশে নতুন নতুন দালাল তৈরির চেষ্টা করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল ২৬ নভেম্বর ফুলবাড়ীর লড়াকু মানুষ বিক্ষোভে ফুঁসে উঠে আরেকবার প্রমাণ করলেন, তরিকুল-সালেহিন-আমিন-এর রক্তে রঞ্জিত ফুলবাড়ীতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে জাতীয় সম্পদ ধ্বংস ও লুটেরাদের মুনাফার পাহাড় গড়তে দেয়া হবে না।
সমাবেশে দেশের গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে জাতীয় কমিটির ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলা হয়, এই সরকার মুখে গ্যাস-বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা বললেও এসব ক্ষেত্রে দেশী বিদেশী লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে। জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম দেখলে মনে হয়, এরা বিদেশি কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত।
উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন নিষিদ্ধ এবং মানুষ-জমি-পানি-প্রাকৃতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে দেশের কয়লা সম্পদের সর্র্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে জন স্বার্থে নীতিমালা করা ও জাতীয় সংসদে জ্বালানী সম্পদ রপ্তানী নিষিদ্ধকরণ আইন পাশ করার দাবি জানান।
সমাবেশে থেকে ফুলবাড়ীর জনগণ ঘোষিত ২৭ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীতে মহাসমাবেশসহ অন্যান্য কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানানো হয়।