বঙ্গভবন, গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুতের সয়ংক্রিয় সুইচ
বঙ্গভবন, গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সয়ংক্রিয় করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে বিকল্প উৎস থেকে সয়ংক্রিয়ভাবে মুহুর্তের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে আসবে। এতে ঐ তিন স্থানে কখনই বিদ্যুৎ চলে যাবে না। আগামী এক বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে।
ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি বিশেষ গুরুত্বপূর্ন এই তিন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহের আধুনিক এই সুইচ ব্যবস্থার সংযোগ করতে যাচ্ছে।
বুধবার ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি) এই কাজ করার জন্য এডেক্স করর্পোরেশন লিমিটেডের সাথে চুক্তি করেছে। ডিপিডিসি প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি সই হয়। এ সময় ডিপিডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) নজরুল হাসান, নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) রমিজ উদ্দিন সরকার, পরিচালক (অর্থ) গোলাম মোস্তফা, পরিচালক (অপারেশন) হারুনুর রশিদ, এডেক্স এর পরিচালক নূরুন্নবী সুজন, হারুন অর রশীদ, মোশাহেদ আলী খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তিতে সই করেন ডিপিডিসি সচিব মোহাম্মদ মুনির চৌধুরী ও এডেক্স এর পরিচালক নুরুন্নবী সুজন।
চুক্তি অনুযায়ি রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১১ কেভি সুইচিং স্টেশন সাথে সয়ংক্রিয় ট্রান্সফার সুইচ স্থাপন করা হবে। বর্তমানে এখানে প্রচলিতভাবে অর্থাৎ হাতে হাতে নিয়ন্ত্রন করা হয়। এতে বিদ্যুৎ চলে গেলে বিকল্প ব্যবস্থা চালু হতে কিছুক্ষণ সময় লাগে। এখন থেকে এই বাড়তি সময় আর প্রয়োজন হবে না।
সয়ংক্রিয় এই সুইচ স্থাপন করতে ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা খরচ হবে। চুক্তি অনুযায়ি ১২ মাস সময় থাকলেও আগামী সাত মাসেই তা শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন।
ডিপিডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ তিনস্থান বিবেচনায় এই সয়ংক্রিয় আধুনিক ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে ঐ তিন স্থানে আর বিদ্যুৎ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকাকে আধুনিক বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আনা হবে।