বছরে ১০ লাখ টন এলএনজি সরবরাহ করতে সামিট ও কমনওয়েলথ এলএনজি সমঝোতা চুক্তি সই
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সামিট অয়েল এন্ড শিপিং কোম্পনি লি. যুক্তরাষ্ট্রের কমনওয়েলথ এলএনজির সাথে বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য স্থানে এলএনজি সরবরাহ করতে সমঝোতা চুক্তি করেছ্।ে
১লা আগষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীরবিক্রম উপস্থিত ছিলেন।
সামিট গ্রুপ ও কমনওয়েলথ এলএনজি’র যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
চুক্তির আওতায় সামিট অয়েল এন্ড শিপিং আগামী বিশ বছর লুসিয়ানার ক্যামেরনে অবস্থিত কমনওয়েলথ এর ৮ দশমিক ৪ এমটিপিএ ক্ষমতার নির্মাণাধীন অবকাঠামো থেকে বছরে প্রায় ১০ লাখ টন এলএনজি কিনতে পারবে।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য জ্বালানি উৎসের সহজলভ্যতার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেগবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সামিট অয়েল এন্ড শিপিং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। সামিট অয়েল এন্ড শিপিং এর অন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো ভারত উপমহাদেশে আনুমানিক তিন গিগাওয়াট গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা এবং নির্মাণাধীন আছে। এছাড়া সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি লি. কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি ৫০ কোটি ঘনফুট ক্ষমতার ভাসমান টার্মিনাল ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট পরিচালনা করছে।
সামিট গ্রুপ অফ কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদ খান বলেন, আমরা অত্যন্ত গর্বিত এইপদক্ষেপনিতেপেরেযাতে কওে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে আমাদের পরিছন্ন জ্বালানি যোগান দিতে সক্ষম হতে পারি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি সরবরাহে কমনওয়েলথকে আমাদের সহযোগি হিসেবে পেয়ে আনন্দিত। এতে বাংলাদেশের জন্যে এলএনজির উৎসে বৈচিত্র্য আসবে। আর মূল্যেস্থিতিশীলতার সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
কমনওয়েলথ’র প্রেসিডেন্ট এন্ড সিইও পল ভারেলো বলেন, সমঝোতা চুক্তি প্রমাণ করে এই দুই কোম্পানির লক্ষ এক। সবচেয়ে কম খরচে গ্যাস তরলীকরণ সেবা দেয়াই হবে কমনওয়েলথ’র লক্ষ। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে পৃথিবীর প্রতিযোগীতামূলক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের মতো একটি উদীয়মান অর্থনীতির জন্যে এই সেবা আরও আবশ্যকীয়। বিশেষ করে যেখানে টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য অনেক জ্বালানির প্রয়োজন। সামিট এই প্রয়োজনটি উপলব্ধি করেছে আর তাতে কমনওয়েলথ এলএনজি সহযোগি হতে পেরে আনন্দিত।
কমনওয়েলথ দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ করছে। আগামী তিন বছরে শেষ হবে। এই পদ্ধতিতে প্রধানত অবকাঠামোর কিছু অংশ অন্যস্থান থেকে এনে জুড়ে দিয়ে কম সময়ে নির্মাণ করা হয়।
সংক্ষেপেকমনওয়েলথএলএনজি:
কমনওয়েলথ এলএনজি, ৮ দশািমক ৪ এমটিপিএ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি টার্মিনাল প্রকল্প যা মেক্সিকো উপসাগরের লুইসিয়ানায় ক্যামেরনের কাছে ক্যালকাসিউ নদীর তীরে অবস্থিত। প্রকল্পটির নেতৃত্ব ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং মূলধনের প্রয়োজন কমিয়ে একটি বিশ্বমানের এলএনজি অবকাঠামো তৈার করছে।