বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের বাধ্য করা হবে

ঢাকার দুই মেয়র বলেছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদেরকে বাধ্য করা হবে। রাজধানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা কোম্পানি করা হচ্ছে। আগামী বছর থেকেই এই কাজ শুরু হবে।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে টেকসই ও নবায়ন যোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)  আয়োজিত এক সেমিনারে ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক ও দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন এই কথা বলেন।
তারা বলেন, রাজধানির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা কঠিন কাজ। এতে অনেক বিনিয়োগ প্রয়োজন। তাছাড়া বিদ্যুতের দামও বেশি হবে। ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জিং কাজ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। সভাপত্তি¡ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক। আলোচনায় অংশ নেন স্রেডার চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জার্মানির ওয়ের্গ ভগনার।
উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ সুন্দর করার জন্য অর্থ সমস্যা নয়। সুন্দও পরিবেশ অর্থেও চেয়ে অনেক মূল্যবান। মাটির নিচে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করা সম্ভব।
আনিসুল হক বলেন, ঢাকায় যে বর্জ্য আছে তাতে ২০০ থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা দেখার জন্য ৫৬টি সংস্থা আছে। এই সংস্থাগুলোর মধ্যে সমš^য় নেই। এদের মধ্যে সমš^য় জরুরী। তিনি বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ করতে অনেক অর্থেও প্রয়োজন। তাছাড়া ঢাকায় উচ্চমুল্যের জমিতে এই প্রকল্প করা যথার্থ হবে কিনা তা আরও পর্যালোচনার প্রয়োজন।