বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ি বিদ্যুৎ দেবে ভারত

বাংলাদেশকে প্রয়োজন মত বিদ্যুৎ দেবে ভারত। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে যখনই বাংলাদেশ চাইবে সক্ষমতা অনুযায়ি ভারত তা দেবে। এছাড়া নেপাল, ভূটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে ভারত সহায়তা করবে।
রোববার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে উভয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান। এ সময় বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উভয়ের বৈঠকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভেড়ামারা-বহরমপুর আন্তঃসংযোগ, আন্তঃসীমান্ত  বিদ্যুৎ বাণিজ্য, ৮০০ কেভি ডিসি মাল্টি টার্মিনাল বাইপুল লাইন, ভুটান ও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, যৌথ বিনিয়োগে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে আন্তঃসংযোগ, পাইপ লাইনের মাধ্যমে এলএনজি, বেসরকারি বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের যতটুকু বিদ্যুৎ প্রয়োজন তার সবটুকু দিতে চায় ভারত। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে যখনই বাংলাদেশ চাইবে তখনই ভারত থেকে চাহিদামতো বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ এখন ভারতের কাছ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরে আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয়া শুরু করবে। এছাড়া বাংলাদেশ দুই/তিন হাজার থেকে শুরু করে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ চাইবে, ভারত সে পরিমাণ বিদ্যুৎ দিতে সম্মতি জানিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত এবং নেপালের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ বিনিময়ের বিষয়ে ভারত ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, সহযোগিতামূলক সম্পর্কের মধ্য বিদ্যুৎ বিনিময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভেড়ামারা-বহরমপুর দিয়ে এরই মধ্যে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। এই সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে দুইদেশই সম্মত হয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে পরিবেশবান্ধব। সব নিয়ম মেনেই সেখানে কাজ এগিয়ে চলছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারক। দুই দেশের মালিকানাভিত্তিক এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে, দ্বিপাক্ষিক ভাল সম্পর্ক কীভাবে নিজেদের উন্নয়নে কাজ লাগে। কেন্দ্রটি বাংলাদেশের সব আইন মেনে নির্মিত হচ্ছে। এর সঙ্গে অবশ্যই পরিবেশগত বিষয়গুলো রয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে পরিবেশবান্ধব। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু এখানে করা হবে না।
এছাড়া ২৭ নভেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে আঞ্চলিক জ্বালানি বিনিময় নিয়ে সচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।