বাংলাদেশে প্রথম ভূমিকম্প সহনীয় ভবন
বাংলাদেশে প্রথম ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মান করা হচ্ছ। জাপানি প্রযুক্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনকে ভূমিকম্প সহনশীল করা হয়েছে। দেশি প্রকৌশলীরা জাপানি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ঝুঁকিপূর্ণ তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনকে রেট্রোফিটিং প্রযুক্তির মাধ্যমে ভূমিকম্প সহনশীল করার কাজ শুরু করেছে।
গণপূর্ত বিভাগের সিএনসিআরপি প্রকল্পের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সী-জাইকার সহযোগিতায় দেশে প্রথমবারের মত ব্যবহার করা হ”েছ জাপানি রেট্রোফিটিং পদ্ধতি।
গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও সিএনসিআরপি’র প্রকল্প ব্যস্ট’াপক প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক সিকদার বলেন, রেট্রোফিটিং এমন একটি প্রযুক্তি যা দিয়ে কোন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন না ভেঙ্গে সেটাকে শক্তিশালী করে ভূমিকম্প সহনশীল করা সম্ভব। ঢাকার মত নগরী যেখানে অসংখ্য ভবন ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে রেট্রোফিটিং পদ্ধতিই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ভূমিকম্পসহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন না ভেঙ্গে রেট্রোফিট টেকনোলোজি ব্যবহার করা গেলে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ আর্থিক খরচ কমানো সম্ভব। তিনি বলেন, প্রাথমিক অস্ট’’ায় পরক্ষামহৃলক তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনকে বেছে নেয়া হয়েছে। কারণ ফায়ার স্টেশন ও হাসপাতাল ভূমিকম্প পরবর্তী পরি¯ি’তি মোকাবেলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিকম্পে যদি ফায়ার স্টেশন ও হাসপাতালগুলো ভেঙ্গে পরে তাহলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।
চার বছর মেয়াদি সিএনসিআরপি প্রকল্পের প্রথম তিন বছর (২০১১ হতে ২০১৫) জাপানি বিশেষজ্ঞরা গণপূর্ত ও অন্যান্য বিভাগের প্রকৌশলীদের প্রক্ষিণ দিয়েছে। প্রশিক্ষণের পর রেট্রোফিটিং প্রযুক্তি হাতে কলমে প্রশিক্ষণের জন্য তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনকে বেছে নেয়া হয়েছে। সিএনসিআরপি প্রকল্পের শেষে গণপূর্ত বিভাগ ধাপে ধাপে ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেটের সকল গুরুত্বপূর্ণ অথচ ঝুঁকিপূণ সরকারি ভবন রেট্রোফিট করার পরিকল্পনা করছে। এক্ষেত্রে ফায়ার স্টেশন, হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
জাইকা ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও এদেশের অধিকাংশ মানুষই জানেন না ভূমিকম্পের সাবধানতা, ভয়াবহতা এবং ভূমিকম্প পরবর্তী পরি¯ি’তি মোকাবেলায় করনীয় সম্পর্কে। ঢাকার ঝুকিপূর্ণ ভবনগুলোকে স্বল্পব্যায়ে রেট্রোফিট টেকনোলোজি ব্যবহরের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব।উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে জাইকার সহযোহিতায় সিএনসিআরপি’র প্রকল্পের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে ভূমিকম্পের সাবধানতা, ভয়াবহতা ও সচেতনতা বিষয়ক বিশেষ মহড়া ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।