বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়াতে চায় গ্যাজপ্রম
শুধু খনিজ উত্তোলন নয়, বাংলাদেশে জ্বালানি উৎপাদন ও বিতরণ, এলএনজি সঞ্চালন ব্যবস্থা ও টার্মিনাল নির্মাণ এবং পাইপলাইন বসানোর মত কাজেও করতে চায় গ্যাজপ্রম।
গত শনিবার মস্কোয় অবস্থিত গ্যাজপ্রমের কার্যালয় পরিদর্শন করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম মাহমুদ আলী। এ সময় রাশিয়ার এই রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির চেয়ারম্যান অ্যালেক্সি মিলার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই আহ্বান জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কার্যালয় পরিদর্শনের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে এশিয়া ও ইউরোপে গ্যাজপ্রমের কাজের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। গ্যাজপ্রমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্দ্রেই ফিক তার কোম্পানির কার্যক্রম ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নতুন কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য তার কোম্পানি প্রস্তুত। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই কাজের মাধ্যমে গ্যাজপ্রম বছরে ৯ কোটি ডলার আয় করে। এই সময় চেয়ারম্যান অ্যালেক্সি মিলার বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আহ্বান জানান। এ সময় জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে একটি খসড়া তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
চেয়ারম্যান অ্যালেক্সি মিলার বলেন, বিশ্বে গ্যাজপ্রমের কাজের যে বিস্তার, তার তুলনায় বাংলাদেশে তাদের উপস্থিতি নিতান্তই সামান্য। কেবল খনিজ উত্তোলন নয়, বাংলাদেশে জ্বালানি উৎপাদন ও বিতরণ, এলএনজি সঞ্চালন ব্যবস্থা ও টার্মিনাল নির্মাণ এবং পাইপলাইন বসানোর মত কাজেও গ্যাজপ্রমকে সম্পুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।
২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে কাজ করছে গ্যাজপ্রম। এ পর্যন্ত মোট ১৫টি কূফ খনন করেছে তারা। ভোলায় আরও দুটি কূপ খননের বিষয়ে সম্প্রতি পেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি করেছে গ্যাজপ্রম।