বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়ানো হবে

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে। বাংলাদেশ বাংলাদেশে ভারতে বিনিয়োগ চাই। ভারতও এই বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভা্রতের কেন্দ্রীয় তেল ও গাস প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান গণভবনে দেখা করেন। এসময় উভয়ে দু দেশেরন জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ধর্মেন্দ্র প্রধান আজ রোববার বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন।
সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তেল সরবরাহ করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লি. এর যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামে একটি এলপি গ্যাস প্লান্ট স্থাপনের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন । দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ শেখ হাসিনা এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিনিয়োগও প্রত্যাশা করেন।
ভারতের প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক আরও গভীর ও গতিশীল করতে চাচ্ছে।
ঢাকা ও দিল্লীর মধ্যে সহযোগিতার বিষয় হিসেবে জ্বালানি খাতকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেন বলেন, উত্তর-পূর্ব দিক থেকে দুই দেশের মধ্যে তেলের পাইপলাইন স্থাপনে ভারত প্রস্তুত রয়েছে।
ভারতের সঙ্গে ভুটান ও শ্রীলঙ্কার এ ধরনের পাইপলাইন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, এখন বাংলাদেশে সরবরাহের জন্য তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। এই মূল্য নির্ধারণও হবে পারস্পরিক সৌহার্দের অংশ হিসেবে, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নয়।
তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতেই তারা পেট্রোকেমিক্যাল প্রডাক্টেও উন্নয়ন ঘটাতে চান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজসম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো.আবুল কালাম আজাদ, ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, ভারতের যুগ্ম সচিব (আন্তর্জাতিক সহযোগিতা) সঞ্জয় সোধি এবং ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন লি. এর চেয়ারম্যান বি অশোক উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের দারিদ্র নির্মূলে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ অঞ্চলের দারিদ্র দূরীকরণে আমাদের একযোগে লড়াই করতে হবে।
একইসঙ্গে পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালি করার ওপরও তিনি জোর দেন।
এসময় তিনি বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে মোটর ভেহিকেল চুক্তি হওয়ার কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডর সৃষ্টির বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন বলে জানান।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ইতোমধ্যেই গঙ্গা পানি বন্টন এবং স্থল সীমান্ত সমস্যার সমাধান করেছি। এখন আমরা কানেকটিভিটি শক্তিশালী করার কাজ করছি।