বাংলাদেশ-নেপাল বৈঠক: বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর তাগিদ

বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। পদ্মা নদীর মাওয়া ফেরি ঘাট এলাকা থেকে তোলা। ছবি: এনার্জি বাংলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ৫ম সভা হয়েছে।

মঙ্গলবার পটুয়াখালীর পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ও নেপালের যৌথ বিনিয়োগে নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, ভারতের ওপর দিয়ে বর্তমান আন্তঃসংযোগ গ্রিড লাইন ব্যবহার করে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি এবং নতুন সঞ্চালন লাইন নির্মাণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এতে বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং নেপালের পক্ষে বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ ও সেচ সচিব দীনেশ কুমার ঘিমির নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেন।

নতুন সঞ্চালন লাইনের অংশ বিশেষ ভারতের ভূখন্ডের মধ্যে নির্মিত হবে বিধায় বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি নির্ধারণ হবে বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।

নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগের লক্ষ্যে আন্তঃদেশীয় ডেডিকেটেড সঞ্চালন লাইন নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা নিয়েও পর্যালোচনা হয়। পাশাপাশি নেপালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের বেসরকারী খাতের বিনিয়োগের বিষয়টিও সভায় আলোচিত হয়।

ভারতের জিএমআর গ্রুপ নেপালে যে ৯০০ মেগাওয়াট আপার কার্নালী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে সেখান থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানি সম্পর্কীয় চুক্তি সই নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।

সভায় বাংলাদেশ ও নেপালে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয় পর্যালোচনা হয়। বাংলাদেশের সোলার হোম সিস্টেম কার্যক্রম ও নেট মিটারিং কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।

বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মতি প্রকাশ করে।

দ্বিপাক্ষিক সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ-ভারত ও নেপালের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের ৫ম সভা এর আগের দিন ১৫ই মে একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ স্টিয়ারিং কমিটি ও যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের ৪র্থ সভা গতবছর নেপালে হয়েছে। কমিটির ৬ষ্ঠ সভা আগামী নভেম্বরে নেপালে হওয়ার কথা।