বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে যৌথ কাজ করা হবে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশের উপর দিয়ে ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রর জন্য কার্গো পরিবহনের অনুমতি দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে সহায়তা করেছে।এর বিনিময়ে ভারত সরকার আমাদের ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সম্মত হয়েছে।দু’দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু হলে বিদ্যুৎ বিনিময় খাতে নতুন সুযোগ তৈরী হবে।
শনিবার বাংলা একাডেমীর আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী আয়োজিত‘১৯৭১: বাংলাদেশ এবং পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত: স্মৃতিসত্তা ভবিষ্যত’ শীর্ষক দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন।সম্মেলনে মন্ত্রী, কুটনৈতিক ব্যক্তি, বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম সরবরাহে ইচ্ছা পোষন করেছে।প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূূর্ণ ভারতের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব প্রদেশ থেকে বাংলাদেশ কাঁচামাল আমদানী করে শিল্পপণ্য তৈরী করে কমমূল্যে সেগুলো ভারত ও অন্যান্য দেশে রফতানী করতে পারে।এতে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় লাভবান হতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত্র ঘেরা ভারতীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ, বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর দুই দেশেরই উন্নয়ন নিহিত।তাই দুই দেশের লাভের জন্যই সম্পর্ক বাড়ানো জরুরী।বাংলাদেশ এবং ভারত আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক জোটের আওতায় বিভিন্নভাবে পারষ্পারিক সহযোগী হিসেবে কাজ করে।দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে সীমান্ত হাট গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে হবে।দু’দেশের মধ্যে সহজে যাতায়াত বাড়াতে হবে।মনের যোগাযোগ বাড়াতে হবে।বিদ্যমান দ্বিমত থাকা বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।এই সম্পর্ক উন্নয়নে রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছা থাকতে হবে।
দু’দিনের সম্মেলনে পূূর্ব, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।এতে বিভিন্ন অধিবেশনে স্মৃতি ১৯৭১, বন্ধু ও বন্ধন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক এবং ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।শনিবার সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক কৈলাস সি. বড়াল।