বাংলাদেশ ভারত আন্তঃসংযোগ বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্থান বাড়ানো হবে

বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে আরও সহযোগিতা বাড়াতে চায় ভারত। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এখন দুই স্থানে আন্তঃসংযোগ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন আছে। এই সংযোগ স্থান আরও বাড়ানোর সম্ভাব্য যাচাই করা হবে। যাতে একাধিক স্থান দিয়ে বিদ্যুৎ দেয়া নেয়া করা যায়।
আজ বুধবার হোটেল সোনারগাঁও এ ঢাকায় বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির একাদশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভায় বর্তমান সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন সঞ্চালন লাইনের সম্ভ্যবতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সময় নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য করণীয় বিষয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, সঞ্চালন লাইন, প্রতিবেশি অন্য দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত আরও বিনিয়োগ করবে বলে জানানো হয়।

সভায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম এবং ভারতের বিদ্যুৎ সচিব প্রদীপ কুমার পুজারী স্ব স্ব দেশের নেতৃত্ব দেন। সভায় ভুটানের একটি প্রকল্পে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগের বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাত সংক্রান্ত বর্তমান বিষয়গুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় রামপালের মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। রামপালে যে কয়লা বিদ্যূৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে সেখানের উন্মুক্ত স্থানে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ভারত যৌথভাবে এই বিনিয়োগ করবে।
ষ্টিয়ারিং কমিটির সভায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আরও কয়েকটি স্থানে আন্তঃসংযোগ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। যাতে কাছাকাছি দূরত্বে বিদ্যুৎ লেনদেন করা সম্ভব হয়।
বহরমপুর-ভেড়ামারা আন্তঃসংযোগ সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা আরও ৫০০ মেগাওয়াট বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া ভারতের রিলায়েন্স, সাপুরজি পালংজি ও আদানি গ্রুপের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাবনার বর্তমান অবস্থাসহ ভারতীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাবনা, নেপালে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানি, ভুটানের এক হাজার ১২৫ মেগাওয়াট কুরী-১ পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনা, ভারত ও ভুটানের যৌথ বিনিয়োগ ও এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানি, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি দক্ষতার ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় ত্রিপুরা আন্তঃসংযোগ সফল বাস্তবায়ন, ত্রিপুরা থেকে আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, বহরমপুর-ভেড়ামারা দিয়ে বেসরকারি বাজার থেকে ৩০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
এর আগে গতকাল সকালে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ওয়ার্কি গ্রুপের ১১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গতবছরের নভেম্বরে দিল্লীতে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটি ও যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের ১০ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।