বাঘ রক্ষার চ্যালেঞ্জ যৌথভাবে মোকাবিলা করতে হবে

বাঘ রক্ষার চ্যালেঞ্জ যৌথভাবে মোকাবিলা করতে হবে।  নয়াদিল্লি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার তিন দিনের টাইগার রেঞ্জ কান্ট্রিজের (টিআরসি) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শেষ হয়েছে।
সমাপনী দিনে দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, বেআইনিভাবে বাঘ শিকার ও বৃক্ষ নিধন সব দেশেই হচ্ছে। ভারতে বাঘের সংখ্যা বিশ্বের মোট বাঘের প্রায় অর্ধেক হলেও সব জায়গার মতো এখানে প্রায় একই রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বাঘ রক্ষায় সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন এবং আমরা যৌথভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি।

ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকার বলেন, উন্নয়ন ও বাঘ সংরক্ষণে স্থানীয় ও অন্য স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি, স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে অংশীদারিত্ব খুবই প্রয়োজন কারণ তারাই প্রকৃত রক্ষক। একইসঙ্গে বহুপক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় চ্যানেলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকে তহবিল ও কারিগরি সহায়তাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নয়াদিল্লি প্রস্তাবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে বলেন তিনি। এর মধ্যে তিন ‘আর’ রেস্টোরেশন, রিইন্ট্রোডাকশন ও রিহ্যাবিলিটেশন এর মাধ্যমে কম নিবিড়তার সুরক্ষিত এলাকায় বাঘের সংখ্যা পুনরুদ্ধার, গ্লোবাল টাইগার রিকোভারি প্রোগ্রামের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিতকরণ, বাঘের বিচরণক্ষেত্রের উন্নয়ন ও অবৈধভাবে বাঘ শিকার বন্ধে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি বৃদ্ধি এবং বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ দমনে সহযোগিতা জোরদার করা অন্যতম।

নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন দিকনির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঘ রক্ষা করা আমাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয় নয়, এটা আমাদের জন্য করা অপরিহার্য। বাঘকে প্রাকৃতিক মূলধন হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। বাঘ সংরক্ষণের সুফল বিশাল। বাঘ রক্ষা ও বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ দমনে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। এই সম্মেলনের আলোচনা চিন্তার উদ্রেক করে।

তিন দিনের এই সম্মেলনে টিআরসিভুক্ত দেশ বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, লাও পিডিআর, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, রাশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মন্ত্রীরা অংশ নেন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন দিনের এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ভুটানের কৃষি ও বন বিষয়ক মন্ত্রী লিয়নপো যেশে দর্জি।