বাঙ্গুরার দায়িত্ব বুঝে নিতে শুরু করেছে ক্রিস এনার্জি
কুমিল্লার বাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্রের দায়িত্ব বুঝে নিতে শুরু করেছে ক্রিশ এনার্জি।আজ ক্রিশ এনার্জির কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাসক্ষেত্রটি পরিচালনার জন্য ঢাকা আসছেন।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, গত ২৩ নভেম্বর তালোকে শেয়ার হস্তান্তরের অনুমতি দেয়া হয়েছে।গত ১৭ ডিসেম্বর ক্রিশের কাছে শেয়ার হস্তান্তর করেছে তারা।যা ১ জানুয়ারি ২০১৪ থেকে কার্যকর হয়েছে।এখন থেকে গ্যাস ক্ষেত্রটির পরিচালনার দায়িত্ব নিচ্ছে ক্রিশ এনার্জি।নাম পরিবর্তন, পিএসসিতে নাম সংযোজনসহ কাগজপত্র তৈরির কাজ শুরু করেছে তারা।
এর বাইরে ক্রিশ এনার্জি অগভীর সাগরের একটি ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ করবে।দরপত্রের মাধ্যমে ক্রিশ একটি ব্লকের কাজ পেয়েছে।এখনো তাদের সঙ্গে পিএসসি স্বাক্ষর করেনি পেট্রোবাংলা।দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কমলে তাদের সঙ্গে চুক্তি হবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের ৯ নম্বর ব্লকে অবস্থিত কুমিল্লার বাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্রের মুল অপারেটর হিসেবে কাজ করছিল তালো। এই ক্ষেত্রে তালোর অংশিদারিত্ব ৩০ শতাংশ। এছাড়া অপর বহুজাতিক কোম্পানী নাইকোর অংশীদারিত্ব হচ্ছে ৬০ শতাংশ এবং দেশিয় কোম্পানী বাপেক্সের অংশীদারিত্ব ১০ শতাংশ।
পেট্রোবাংলার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, উত্পাদন বন্টন চুক্তি (পিএসসি) অনুযায়ী সকল ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। ক্রিশ এনার্জি এখন নাম পরিবর্তনের কাজগুলো করবে। এরপর পিএসসি এমেনমেন্টের জন্য পেট্রোবাংলার কাছে আবেদন করবে। সব কাজ শেষ করে পিএসসি এমেনমেন্ট হতে বছর খানেক সময় লাগতে পারে। সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্রটি কেয়ার্নের কাছ থেকে যখন সান্তোস বুঝে নেয় তখন সব মিলিয়ে প্রায় বছর খানেক সময় লেগেছিল।
তালো বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি দেশে বড় তেলের খনি পাওয়ার কারণে তারা বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, খনিতে গ্যাসের উত্পাদন কমে গেলে শেয়ার হস্তান্তর করে দেশ ছাড়ার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক তেল গ্যাস কোম্পানির।এর আগে কেয়ার্ন এনার্জি সাঙ্গুর শেয়ার অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক সান্তোসের কাছে বিক্রি করে চলে যায়।বাঙ্গুরায় গ্যাসের উত্পাদন কমে যাওয়ায় কেয়ার্নের পথই অনুসরণ করল তালো।এছাড়া ক্ষেত্রেটির মেজর কস্ট রিকভারি শেষ হয়ে গেছে।এখন সামান্য কিছু কস্ট রিকভারি বাদ রয়েছে।
১৯৯৭ সালে কুমিল্লা জেলার ১ হাজার ৭৭০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা গ্যাস অনুসন্ধান, উন্নয়ন, উত্পাদন এবং বাজারজাতকরনের জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি করে তালো।এক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য মজুদের পরিমাণ ৩০৯ বিলিয়ন ঘনফুট।গত বছর প্রতিদিন গড়ে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হলেও এ বছর তা কমে ৮০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে।