বাজেটে আবারো জ্বালানি ভর্তুকি ইন্দোনেশিয়ায়

প্রতি বছরই ইন্দোনেশিয়ার বাজেটের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় জ্বালানি ভর্তুকির পেছনে। আগামী বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইউধোয়ানো। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জকো উইডুডুর এ ধরনের খরচ কমিয়ে আনার পরিকল্পনায় তার এ বক্তব্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপি।

আগামী বছরের জন্য উত্থাপিত খসড়া বাজেটটি গত শনিবার উপস্থাপন করেন প্রেসিডেন্ট ইউধোয়ানো। এ বাজেটে জ্বালানি এবং বিদ্যুতে ভর্তুকির জন্য ৩৬৩ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন রুপিয়া (৩১ বিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। চলতি বছরের তুলনায় যা অনেকটা বেশি। মোট বাজেটে বরাদ্দের ১৮ শতাংশই যাচ্ছে এ ভর্তুকি বাবদ। গত বছর এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৩৫০ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন রুপিয়া। যদিও দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার মূলে রয়েছে এ ভর্তুকি। এ নিয়ে সারা দেশে যেমন বিক্ষোভ হয়েছে, তেমনি সরকারের শরিক জোটের মধ্যে ভাঙন তৈরি করেছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ইন্দোনেশিয়া সরকারের অর্থের একটি বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে ভর্তুকির পেছনে, যা কমানো অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে। এছাড়া ভর্তুকি দেয়া নিয়ে যে বৈষম্য চলছে, তা নিয়েও সমালোচনা কম হচ্ছে না। জ্বালানি ক্রয়ের ওপর বেশি ভর্তুকি দরিদ্রদের তুলনায় ধনীদেরই সুবিধা দেয়া হয়। দুই বছর দায়িত্ব পালন শেষে অক্টোবরে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইউধোয়ানো। মেয়াদকালে ভর্তুকির পরিমাণ কিছুটা কমালেও তা পর্যাপ্ত না হওয়ার কারণে সমালোচিত হতে হয়েছে তাকেও।

তবে নিজে সফল না হলেও আগামীতে দায়িত্ব নিতে যাওয়া সরকারকে ভর্তুকিতে গরিবদের বেশি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সামনে এগোতে হলে এ বিষয়টি সরকার ও আইনপ্রণেতাদের অনুধাবন করতে হবে। ভর্তুকি সুনির্দিষ্ট হওয়ার পাশাপাশি তা যাতে মাত্রাতিরিক্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ এর আগে গত বছর সর্বশেষ ভর্তুকি বাড়িয়েছিল ইন্দোনেশিয়া।

ইউধোয়ানো জানান, সরকার আগামী বছরের জন্য ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি কমে ৪ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়াবে। একই সঙ্গে রুপিয়ার মানও কিছুটা স্থিতিশীল হয়ে ডলারপ্রতি ১১ হাজার ৯০০ হবে।

খসড়া বাজেটে সরকারি কার্যক্রম এবং পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পুরনো অবকাঠামো সংস্কার এবং আরো বিনিয়োগ আকর্ষণেই এ বরাদ্দ অনুমোদিত হয়েছে। বাজেটটি এখন পার্লামেন্টে অনুমোদনের অপেক্ষায়।