বাজেট বক্তৃতায় বিদ্যুৎ নিয়ে অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, লোডশেডিং কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ইতোমধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ আগামী ২০২১ সালের আগেই বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে। রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীলতা আগামী ২০১৮ সালে পর কমতে থাকবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন ১১ হাজার ২১৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিরিক্ত ১১ হাজার ১২৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি মহা-পরিকল্পনার আওতায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য রামপাল, মাতারবাড়ি, পটুয়াখালীর পায়রায় এবং বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের আর্থিক সহায়তায় মহেশখালীতে চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিদ্যমান উৎপাদন ক্ষমতা ধরে রাখতে গ্যাসভিত্তিক পুরাতন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সংরক্ষণ ও মেরামতের চলমান কার্যক্রমও রাখা হবে। পাশাপাশি, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় নেপাল, ভুটান, মায়ানমার ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে। রূপপুরে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়েছে।