বাসাবাড়িতে নয়, শিল্পে গ্যাস দেব: সংসদে প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জাতীয় সংসদে বলেছেন, শিল্প কারখানায় প্রাকৃতি গ্যাসের সরবরাহ অগ্রাধিকার পাবে, বাসাবাড়ির চুলায় নয়। গ্যাস মহামূল্যবান। সবাই চান এই গ্যাস বাসার চুলায় নিতে। আমরা এই বিষয় থেকে বিরতি নিতে চাই।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ১৩৭ বিধিতে সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবাসিক খাতে গ্যাস দেব, শিল্পখাতে দেব, বাণিজ্যে, সিএনজিতে, নাকি
বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস দেব। কোনটা অগ্রাধিকার? যদি গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ বানাই সেখানে যে এনার্জি তৈরি হয় তার দক্ষতা ৬৫ শতাংশ। চুলাতে যে গ্যাস ব্যবহার করে আমরা রান্না করি তার এফিশিয়েন্সি ৫ শতাংশ।

তিনি বলেন, দুইটি চুলায় এক মাসে যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে, সেই গ্যাস দিয়ে যদি গার্মেন্টসের ব্রয়লার চালানো হয় তাহলে ১০০ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হয়। কাজেই গুরুত্বটা কোথায়? বুঝতে হবে। অতি মূল্যবান প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করতে ৯ টাকা আর সেই গ্যাস বিক্রি করছি গড়ে ৭ টাকা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের চাহিদা মেটাতে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। যে গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে সেখানেও প্রায় ১০-১২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, গ্যাসের ব্যবহার নিয়ে ২০১৮ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ভোলায় বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যতিত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের প্রয়োজন নেই। সেখানে নির্মিতব্য বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্বৈত জ্বালানিভিত্তিক হতে হবে। যদি গ্যাসও ফুরিয়ে যায়, যাতে তেল দিয়েও চালানো যায়।

তিনি বলেন, ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত পাইপলাইনে গ্যাস নেয়া যায় কিনা- সেই সমীক্ষা করা হচ্ছে। বরিশালে শিল্প করতে চাই। শিল্প এলাকায় গ্যাস দিতে চাই। বাংলাদেশের যত শিল্প এলাকা হবে সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস দেয়া হবে।