বাসায় চুলা ঠিকভাবে বন্ধ করা হয়নি অথবা আংশিক বন্ধ ছিল: তিতাস কর্তৃপক্ষ

উত্তরার অগ্নিদগ্ধ বাসভবনে রাতে গ্যাসের চুলা বন্ধ করা হয়নি অথবা আংশিক বন্ধ ছিল। এজন্য দীর্ঘ সময় আস্টেø আস্টেø গ্যাস বের হয়ে পুরো ঘর গ্যাসে ভরে যায়। পরে গ্যাস ভর্তি ঘরে যখনই চুলা ধরানোর জন্য দেশলাইয়ের আগুন জ্বালানো হয়েছে তখনই পুরো ঘরে আগুন ধরে গেছে। ঐ বাসায় কোন গ্যাস সিলিন্ডার ছিল না।
তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন এন্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (তিতাস গ্যাস) এর উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধি দল সরোজমিন পরিদর্শন করে এই প্রতিবেদন দিয়েছে।
তিতাস গ্যাস সূত্র জানায়, উত্তরার বাসায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরী করে উর্ধ্বতন মহলে দেয়া হবে।
সচেতনতার মাধ্যমে এধরনের দুর্ঘটনা থেকে দূরে থাকা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পরামর্শ দিয়ে তিতাসের প্রকৌশলী উপমহাব্যবস্থাপক ফয়জার রহমান বলেন, কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বা ছিদ্র হয়ে গ্যাস বের হতে থাকলে প্রথমে রাইজারের চাবি বন্ধ করে দিতে হবে। গ্যাস বের হওয়ার আশপাশে আগুন জ্বালানো যাবে না। চুলা জ্বালানোর কমপক্ষে ১৫/২০ মিনিট আগে রান্না ঘরের দরজা জানালা খুলে দিতে হবে। রান্না শেষে চুলা বন্ধ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। গ্যাসের চুলা ও পাইপের পাশে দাহ্য পদার্থ বা বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন করা যাবে না। অকারণে গ্যাসের চুলা জ্বালানি রাখা যাবে না। তিনি জানান, ঘরের মধ্যে গ্যাস বের হতে থাকলে বা গ্যাসে ভরে গেলে প্রথমত স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হবে। তাছাড়া গ্যাসে থাকা আলাদা একটা গন্ধ টের পাওয়া যাবে। এমন পরিস্থিতি হলেই সর্তক হতে হবে।