বিদেশী কোম্পানির সুযোগ বাড়িয়ে নতুন পিএসপি

বিদেশী কোম্পানির সুযোগ বাড়িয়ে নতুন করে উৎপাদন বন্টন চুক্তির খসড়া তৈরী করা হচ্ছে। সমুদ্রের সব ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য নতুন প্রস্তাবে দরপত্র আহবান করা হবে। নতুন খসড়ায় বিদেশী কোম্পানিকে সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেয়া হবে। সমুদ্রে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে চুক্তির ধারা পরিবর্তন করা হবে। বাড়ানো হবে বিদেশীদের জন্য গ্যাসের দাম।
রোববার এবিষয়ে জ্বালানি বিভাগে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিদেশী কোম্পানির জন্য সুযোগ বাড়িয়ে আকর্ষনীয়ভাবে নতুন দরপ্রস্তাব দিতে প্রাথমিকভাবে বৈঠকে সকলে একমত হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে বিদেশী কোম্পানিকে সুযোগ বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
সভা শেষে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সমুদ্রের সব ব্লকের জন্য নতুন করে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হবে। চলতি বছরের মধ্যেই এই দরপত্র আহবান করা হবে। কিভাবে দরপত্র আহবান করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
পার্শ্ববর্তী দেশের অনুকরণে দরপ্রস্তাব আকর্ষনীয় করা হবে। এরআগে সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য দরপত্র আহবান করা হলেও বিদেশীদের কাছ থেকে যথাযথ সাড়া পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে দরপ্রস্তাব বিনিয়োগ আকর্ষনীয় নয় বলে তারা অভিযোগ করেছে।
উৎপাদন বন্টন চুক্তি (পিএসসি) ২০০৮ অনুযায়ি প্রতি হাজার ঘনফুট (এক ইউনিট) গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয় চার দশমিক দুই ডলার। পরবর্তীকালে গভীর সাগরে ইউনিট প্রতি সাড়ে ছয় ডলার দাম নির্ধারণ করে পিএসসি ২০১২ করা হয়।
বর্তমানে মিয়ানমার বিদেশী কোম্পানিকে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম সাত ডলারের বেশি দেয়। ভারতেও একই দাম। অন্যদিকে বাংলাদেশ কনোকো-ফিলিপসের সঙ্গে যে পিএসসি করেছে তাতে গ্যাসের দাম ধরা হয়েছে সাড়ে চার ডলার। কনোকোসহ বাংলাদেশে বিনিয়োগকরা অন্য বিদেশী কোম্পানিগুলো মিয়ানমারের সমান অথবা কাছাকাছি গ্যাসের দাম করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, নতুন সীমানা নির্ধারনের সব প্রত্রিক্রয়া শেষ হলেই এই কাজ শুর“ হবে।
২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর গভীর ও অগভীর সাগরের মোট ১২টি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। এরমধ্যে অগভীর সাগরের নয়টি ব্লকের জন্য দরপ্রস্তাব জমা পড়লেও গভীর সাগরের তিনটি ব্লকের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক কোম্পানি আগ্রহ দেখায়নি। প্রাথমিকভাবে সাত নম্বর ব্লকে অনুসন্ধানের জন্য কনোকো ফিলিপস এবং চার ও নয় নম্বর ব্লকের জন্য ভারতীয় কোম্পানি  ওএনজিসিকে নির্বাচিত করা হয়।
গতবছরের ২৮ মে আবার অগভীর সাগরের ছয়টি ব্লকের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। তখন মাত্র একটি ব্লকে ১১ নম্বরের জন্য সান্তোস ও ত্রিস এনার্জি যৌথভাবে দরপ্রস্তাব জমা দেয়।  কনোকো গ্যাসের দাম না বাড়ালে পিএসসি করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।