বিদ্যুতের জন্য চীনের কাছে ২৭ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব
চীনের কাছে প্রায় ২৭ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ। বিদ্যুৎখাতের ২১টি প্রকল্পের জন্য এই অর্থ খরচ করা হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় এই ঋণ চাওয়া হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ, প্রি পেইড মিটারসহ বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য এই ঋণ চাওয়া হয়েছে।
আগামী ১৪ই অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ আসবেন। সে সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে চীনের ঋণ বা বিনিয়োগ চাইবে বাংলাদেশ।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ২৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের একটি চাহিদাপত্র অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) পাঠানো হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্টের সফর এবং ঋণের অর্থায়ন সংক্রান্ত্র এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিদ্যুৎ বিভাগ ২১ প্রকল্পের তালিকা উপস্থাপন করে।
এরমধ্যে সবচেয়ে বড় ঋণ নেয়া হবে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য। এতে প্রায় দুই বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে চীনা এক্সিম ব্যাংক। এছাড়া মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার কয়লাভিত্তিক আরও একটি ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্রর জন্য ঋণ চাওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে। ঢাকা শহরের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও মাটির তলদেশ দিয়ে বিতরণ লাইন স্থাপনেও ঋণ চাওয়া হচ্ছে।
চীনের কাছ থেকে চাওয়া ঋণের তালিকায় আছে ১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারে সিম্টেম লস কমাতে উন্নত মিটার, ২০৩ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঢাকায় ডিপিডিসি অধীনে বিদ্যুৎ সরবরাহ উন্নয়ন ও ১৩২ কোটি ১৮ লাখ ডলারে সঞ্চালন উন্নয়ন। এছাড়া ময়মনসিংহের ৩৬০ মেগাওয়াট দ্বৈত জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মোল্লাহাট ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র, সিস্টেম লস কমাতে ৫০ লাখ পুরোনো মিটার বাদ দিয়ে নতুন লাগানো, ৫ হাজার ডিজেল চালিত সেচ পাম্পকে সৌর সেচ পাম্প করা।